শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা বাড়ানো হয়েছে ৩০ দিন

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা বাড়ানো হয়েছে এক মাস। দেশটির পার্লামেন্টে এ বিষয়ে ভোটাভুটির পর আসে এই ঘোষণা।

স্থানীয় সময় বুধবার পার্লামেন্টে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন ১২০ জন এমপি। বিপক্ষে অবস্থান নেন ৬৩ এমপি।

এর আগে তীব্র বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ১৮ জুলাই থেকে কার্যকর হয় জরুরি অবস্থা।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে অনুমোদন না পেলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তা অকার্যকর হয়ে যায়। বুধবার সেই ১৪ দিন মেয়াদের শেষ দিন ছিল। তাই শেষ দিনে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে বেড়ে গেল জরুরি অবস্থার মেয়াদ।

কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমাতে এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো মাত্রা আরও তীব্র হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মে মাসে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। গত ১২ মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এখন তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান।

এই পর্যায়ে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত হন এক এমপি। অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপির বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা বাড়ানো হয়েছে ৩০ দিন

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা বাড়ানো হয়েছে এক মাস। দেশটির পার্লামেন্টে এ বিষয়ে ভোটাভুটির পর আসে এই ঘোষণা।

স্থানীয় সময় বুধবার পার্লামেন্টে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন ১২০ জন এমপি। বিপক্ষে অবস্থান নেন ৬৩ এমপি।

এর আগে তীব্র বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ১৮ জুলাই থেকে কার্যকর হয় জরুরি অবস্থা।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে অনুমোদন না পেলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তা অকার্যকর হয়ে যায়। বুধবার সেই ১৪ দিন মেয়াদের শেষ দিন ছিল। তাই শেষ দিনে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে বেড়ে গেল জরুরি অবস্থার মেয়াদ।

কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমাতে এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো মাত্রা আরও তীব্র হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মে মাসে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। গত ১২ মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এখন তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান।

এই পর্যায়ে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত হন এক এমপি। অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপির বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।