রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন দোনেৎস্ক শহরের একটি কারাগারে আটক ৪০ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দী ইউক্রেনেরই গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয়দের ছোঁড়া একটি রকেট ওলেনিকোভার একটি বন্দীশিবিরে আঘাত হেনেছিল। এই ঘটনায় আরও ৭৫ জন আহত হয়। তবে বিবিসি স্বাধীনভাবে এই খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। তারা পাল্টা রাশিয়াকেই এই ঘটনার জন্য দোষারোপ করছে। এই বন্দীশিবিরে চালানো নির্যাতনের প্রমাণ ঢাকা দিতেই রাশিয়া সেখানে হামলা করে বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রুশ দখলদাররা তাদের অপকর্মের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে, এখন তারা তাদের নির্যাতনের প্রমাণ এবং সেখানে রুশ ফেডারেশনের নির্দেশে চালানো হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলছে।”
রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে, যেখানে কিছু মানুষের দেহাবশেষ দেখা যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বিবিসি এই ফুটেজ যাচাই করতে পারেনি। তবে বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে, এই ভবনে এমন কোন বিস্ফোরণ ঘটেছিল যাতে আগুন ধরে গিয়েছিল।
রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের একজন মুখপাত্র ডানিল বেজসোনভ বলেন, শিবিরের যে ব্যারাকে বন্দীদের রাখা হয়েছিল সেখানে সরাসরি আঘাত হেনেছিল রকেট। তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত হিমার্স আর্টিলারি দিয়ে এই হামলা চালানো হয় এবং তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইচ্ছেকৃতভাবে এই হামলা চালিয়ে উস্কানির অভিযোগ এনেছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 

























