বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ জাহিদ-৩ থেকে পড়ে যাওয়া শিশু শ্রমিক ওসমান গনিকে (১২) উদ্ধার করেছে জেলেরা। 

রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ওই লঞ্চটি গলাচিপা উপজেলার কাকড়ার চর সংলগ্ন আগুনমুখা নদী অতিক্রমকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শিশু ওসমান জাহিদ-৩ লঞ্চের শ্রমিক হিসাবে দুই মাস ধরে কাজ করছে। তার বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া এলাকায় এবং বাবা মৃত ইমাম উদ্দিন খাঁ।  লঞ্চ শ্রমিক ওসমান গনি বলনে, রশি দিয়ে বাঁধা বালতি দিয়ে পানি উঠানের সময় নদীতে পড়ে যায়। সে অনেকক্ষণ সাঁতার কাটে এবং ডাকচিৎকার দেয়। কিন্তু লঞ্চ চালিয়ে চলে যায়। পরে জেলেরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। 

জানা গেছে, ঘটনার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ওসমানকে সাঁতার কাটতে দেখে জুয়েল মাতুব্বরের মাছ ধরার জেলেরা তাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে গলাচিপা উপজেলার পানপট্রি তুলারাম গ্রামের কালাম মাতুব্বরের হেফাজতে রয়েছে ওসমান। 

এদিকে, লঞ্চ শ্রমিক নদীতে পড়ে যাওয়ার পর উদ্ধার না করে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। 

লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, “অনেক চেষ্টা করছি লঞ্চটি ঘুরিয়ে তাকে উদ্ধার করতে। কিন্তু আগুনমুখা নদীতে স্রোতের গতি ছিল অনেক বেশি। সে কারণেই উল্টো পথে লঞ্চটিকে ঘুরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিশুটি বর্তমানে একজনের জিম্মায় আছে। সে কিভাবে পড়ে গেল বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার 

প্রকাশিত সময় : ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ জাহিদ-৩ থেকে পড়ে যাওয়া শিশু শ্রমিক ওসমান গনিকে (১২) উদ্ধার করেছে জেলেরা। 

রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ওই লঞ্চটি গলাচিপা উপজেলার কাকড়ার চর সংলগ্ন আগুনমুখা নদী অতিক্রমকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শিশু ওসমান জাহিদ-৩ লঞ্চের শ্রমিক হিসাবে দুই মাস ধরে কাজ করছে। তার বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া এলাকায় এবং বাবা মৃত ইমাম উদ্দিন খাঁ।  লঞ্চ শ্রমিক ওসমান গনি বলনে, রশি দিয়ে বাঁধা বালতি দিয়ে পানি উঠানের সময় নদীতে পড়ে যায়। সে অনেকক্ষণ সাঁতার কাটে এবং ডাকচিৎকার দেয়। কিন্তু লঞ্চ চালিয়ে চলে যায়। পরে জেলেরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। 

জানা গেছে, ঘটনার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ওসমানকে সাঁতার কাটতে দেখে জুয়েল মাতুব্বরের মাছ ধরার জেলেরা তাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে গলাচিপা উপজেলার পানপট্রি তুলারাম গ্রামের কালাম মাতুব্বরের হেফাজতে রয়েছে ওসমান। 

এদিকে, লঞ্চ শ্রমিক নদীতে পড়ে যাওয়ার পর উদ্ধার না করে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। 

লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, “অনেক চেষ্টা করছি লঞ্চটি ঘুরিয়ে তাকে উদ্ধার করতে। কিন্তু আগুনমুখা নদীতে স্রোতের গতি ছিল অনেক বেশি। সে কারণেই উল্টো পথে লঞ্চটিকে ঘুরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিশুটি বর্তমানে একজনের জিম্মায় আছে। সে কিভাবে পড়ে গেল বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।