শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কর্মচারী গ্রেপ্তার

রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম প্রফেসরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইউসেপ ছোটবনগ্রাম সিটি করপোরেশন টেকনিক্যাল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্কুলটির ক্লিনার কাম গার্ডেনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম আবদুল হাকিম। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। ইউসেপ বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থা স্কুলটি পরিচালনা করে থাকে।

ঘটনার পর সোমবার স্কুলে যায়নি ওই ছাত্রী। রোববার ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর তাঁর বাবা থানায় গিয়ে মামলা করেন। পরে দুপুরেই পুলিশ হাকিমকে স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ঘটনার পর স্কুলটির সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল অভিযুক্ত আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। তাই সেন্টার ইনচার্জকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিশুটির বাবা।

তিনি জানান, রোববার সকালে সবার আগে স্কুলে যায় তার মেয়ে। এ সময় একা পেয়ে হাকিম তার মেয়েকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। পরে সেন্টার ইনচার্জ এলে ওই ছাত্রী বিষয়টি তাকে জানান। এ সময় সেন্টার ইনচার্জ আবদুল হাকিমের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেন। সেখানে হাকিম নিজের দোষ স্বীকার করে লেখেন, নোংরা ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে এ ধরনের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে যে শাস্তি দেবে তিনি তা মাথা পেতে নিতে বাধ্য থাকবেন।

স্বাক্ষী হিসেবে এই মুচলেকায় সই করেন সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল ও ইনস্ট্রাক্টর শাহানাজ বেগম, মো. শফিকুজ্জামান, হাসান হাফিজুর রহমান এবং শহিদুল ইসলাম 

মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্ত হাকিমকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল কামাল বলেন, আমি হাকিমকে ছাড় দেয়নি। সে জন্যই ঘটনার প্রমাণ রাখতে মুচলেকা নিয়ে রেখেছেন।

ইউসেপ বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত হাকিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ‘একা পেয়ে হাকিম শিশুটির যৌন হয়রানি করেছে। জাপটে ধরে স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেওয়া হয়েছে। তাই যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাজশাহীতে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কর্মচারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত সময় : ০৬:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম প্রফেসরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইউসেপ ছোটবনগ্রাম সিটি করপোরেশন টেকনিক্যাল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্কুলটির ক্লিনার কাম গার্ডেনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম আবদুল হাকিম। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। ইউসেপ বাংলাদেশ নামের একটি সংস্থা স্কুলটি পরিচালনা করে থাকে।

ঘটনার পর সোমবার স্কুলে যায়নি ওই ছাত্রী। রোববার ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর তাঁর বাবা থানায় গিয়ে মামলা করেন। পরে দুপুরেই পুলিশ হাকিমকে স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ঘটনার পর স্কুলটির সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল অভিযুক্ত আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। তাই সেন্টার ইনচার্জকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিশুটির বাবা।

তিনি জানান, রোববার সকালে সবার আগে স্কুলে যায় তার মেয়ে। এ সময় একা পেয়ে হাকিম তার মেয়েকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। পরে সেন্টার ইনচার্জ এলে ওই ছাত্রী বিষয়টি তাকে জানান। এ সময় সেন্টার ইনচার্জ আবদুল হাকিমের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেন। সেখানে হাকিম নিজের দোষ স্বীকার করে লেখেন, নোংরা ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে এ ধরনের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে যে শাস্তি দেবে তিনি তা মাথা পেতে নিতে বাধ্য থাকবেন।

স্বাক্ষী হিসেবে এই মুচলেকায় সই করেন সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল ও ইনস্ট্রাক্টর শাহানাজ বেগম, মো. শফিকুজ্জামান, হাসান হাফিজুর রহমান এবং শহিদুল ইসলাম 

মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্ত হাকিমকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল কামাল বলেন, আমি হাকিমকে ছাড় দেয়নি। সে জন্যই ঘটনার প্রমাণ রাখতে মুচলেকা নিয়ে রেখেছেন।

ইউসেপ বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত হাকিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ‘একা পেয়ে হাকিম শিশুটির যৌন হয়রানি করেছে। জাপটে ধরে স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেওয়া হয়েছে। তাই যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’