বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার সময় ভুক্তভোগী বনশ্রীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। তার মা একজন শিক্ষিকা। বাসায় মায়ের অনুপস্থিতিতে ২০১৭ সালের ১২ মে থেকে প্রায়সময় ধর্ষণ করত অভিযুক্ত। ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়ের শারীরিক গঠন দেখে সন্দেহ হয় ভুক্তভোগীর মায়ের।
হাসপাতালে নেয়ার পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসক জানান যে কিশোরী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়েকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, আসামি প্রায়ই বাসায় এসে ধর্ষণ করেছে। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর মা মামলা করেন। মামলার পর ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর আজিমপুরে সোনামণি নিবাসে রয়েছে ।
মামলা তদন্তের পর একই বছর ৭ মে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রেস্টুরেন্ট কর্মী রাজুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। সেই সঙ্গে লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 























