রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ শিক্ষার্থীকে দিয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণমূলক এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রথম দিনে রাজধানী মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যবেক্ষণমূলক ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ৫-১১ বছরের শিক্ষার্থীদেরও করোনা টিকা প্রয়োগ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আনন্দিত এই কারণে যে ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে ৩১ কোটি ৯ লাখ টিকা এসেছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ ১২ কোটি ৫৭ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ১২ কোটি এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটির বেশি মানুষকে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা যুক্তরাষ্ট্রতেও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসনও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এটি শিশুদের জন্য একদম নিরাপদ।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘টিকার ক্ষেত্রে আমাদের বিরাট সাফল্য রয়েছে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।’

দীপু মনি বলেন, ‘এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য হু, ইউএসএইড, ইউনিসেফ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোভেস্কসহ সবার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘৫-১১ বছরের শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম সারাদেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে। টিকার প্রথম ডোজ চলবে ২৫ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর শিশুরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন। শিশুদের দেওয়ার জন্য ফাইজারের তৈরি টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের হাতে আছে। আমাদের টিকা কর্মীরাও সারাদেশে প্রস্তুত আছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে শিশুদের টিকা কার্যক্রম আমরা সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু করার পরিকল্পনা করেছি। এরপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়েও এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা মো শামছুল হক, বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রমুখ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

১৬ শিক্ষার্থীকে দিয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণমূলক এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রথম দিনে রাজধানী মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যবেক্ষণমূলক ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ৫-১১ বছরের শিক্ষার্থীদেরও করোনা টিকা প্রয়োগ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আনন্দিত এই কারণে যে ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে ৩১ কোটি ৯ লাখ টিকা এসেছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ ১২ কোটি ৫৭ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ১২ কোটি এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটির বেশি মানুষকে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা যুক্তরাষ্ট্রতেও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসনও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এটি শিশুদের জন্য একদম নিরাপদ।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘টিকার ক্ষেত্রে আমাদের বিরাট সাফল্য রয়েছে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।’

দীপু মনি বলেন, ‘এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য হু, ইউএসএইড, ইউনিসেফ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোভেস্কসহ সবার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘৫-১১ বছরের শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম সারাদেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে। টিকার প্রথম ডোজ চলবে ২৫ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর শিশুরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন। শিশুদের দেওয়ার জন্য ফাইজারের তৈরি টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের হাতে আছে। আমাদের টিকা কর্মীরাও সারাদেশে প্রস্তুত আছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে শিশুদের টিকা কার্যক্রম আমরা সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু করার পরিকল্পনা করেছি। এরপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়েও এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা মো শামছুল হক, বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রমুখ