বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শঙ্কামুক্ত বর-কনে, ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠছেন

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট চাপায় পিষ্ট প্রাইভেটকারে বেঁচে যাওয়া নবদম্পতি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তাদেরকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনায় যারা মারা গেছেন, তারা হলেন বরের বাবা, কনের মা, কনের খালা ও খালাতো ভাই এবং বোন। সোমবার বিকেলে উত্তরায় জসিমউদ্দীন মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেঁচে ফেরা দুইজন হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। আজ ছিল বউভাত। ছেলের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে মেয়ের বাড়ি আশুলিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ছেলের বাবা রুবেল মিয়া। ছিলেন মেয়ের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝর্ণা বেগম এবং তার দুই সন্তান ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও ২ বছর বয়সী জাকারিয়া। তাদের সবাই মারা গেছেন।

এদিকে পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ক্ষণে ক্ষণে হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন নবদম্পতি। এসময় তাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সোমবার রাতে হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. এন আলম মাসুদ জানান, শুধু হৃদয়ের ডান পায়ে সামান্য আঘাত রয়েছে। এছাড়া দুজনেই অক্ষত বলা যায়। তাঁদের শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। তবে মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শঙ্কামুক্ত বর-কনে, ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠছেন

প্রকাশিত সময় : ১১:২৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট চাপায় পিষ্ট প্রাইভেটকারে বেঁচে যাওয়া নবদম্পতি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তাদেরকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনায় যারা মারা গেছেন, তারা হলেন বরের বাবা, কনের মা, কনের খালা ও খালাতো ভাই এবং বোন। সোমবার বিকেলে উত্তরায় জসিমউদ্দীন মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেঁচে ফেরা দুইজন হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। আজ ছিল বউভাত। ছেলের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে মেয়ের বাড়ি আশুলিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ছেলের বাবা রুবেল মিয়া। ছিলেন মেয়ের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝর্ণা বেগম এবং তার দুই সন্তান ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও ২ বছর বয়সী জাকারিয়া। তাদের সবাই মারা গেছেন।

এদিকে পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ক্ষণে ক্ষণে হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন নবদম্পতি। এসময় তাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সোমবার রাতে হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. এন আলম মাসুদ জানান, শুধু হৃদয়ের ডান পায়ে সামান্য আঘাত রয়েছে। এছাড়া দুজনেই অক্ষত বলা যায়। তাঁদের শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। তবে মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।