রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার এক বছরে ৪৭ হাজার শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে

করোনা মহামারিতে বাল্যবিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এর মধ্যে বাল্যবিয়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ৪১৪ শিক্ষার্থীর। পাশাপাশি, শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭০৬ জন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে বালক ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬ জন এবং বালিকা ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১ জন। ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জনে উন্নীত হয়। এর মধ্যে বালক ৩০ লাখ ২১ হাজার ২৩৩ জন এবং বালিকা ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন। প্রাপ্ত তথ্যে কোভিড-১৯ অতিমারির মধ্যে ২০২০ সালের তুলানায় মোট শিক্ষার্থী বেড়েছে ৯৩ হাজার ২ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বালক ২৮ লাখ পাঁচ হাজার ৭৯১ জন এবং বালিকা ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর সাত দশমিক ২৩ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিয়ের কারণে ৪৭ হাজার ৪১৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত, শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭৭ হাজার ৭০৬ জন এবং অন্যান্য কারণে অংশ নেয়নি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার রোগী শনাক্ত হলে ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। একটানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সশরীর ক্লাস শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবেদনে করোনায় বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এ চিত্রের বিপরীতে তুলে ধরা হয়নি কোনো সুপারিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

করোনার এক বছরে ৪৭ হাজার শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে

প্রকাশিত সময় : ১১:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

করোনা মহামারিতে বাল্যবিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এর মধ্যে বাল্যবিয়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ৪১৪ শিক্ষার্থীর। পাশাপাশি, শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭০৬ জন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে বালক ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬ জন এবং বালিকা ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১ জন। ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জনে উন্নীত হয়। এর মধ্যে বালক ৩০ লাখ ২১ হাজার ২৩৩ জন এবং বালিকা ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন। প্রাপ্ত তথ্যে কোভিড-১৯ অতিমারির মধ্যে ২০২০ সালের তুলানায় মোট শিক্ষার্থী বেড়েছে ৯৩ হাজার ২ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বালক ২৮ লাখ পাঁচ হাজার ৭৯১ জন এবং বালিকা ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর সাত দশমিক ২৩ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিয়ের কারণে ৪৭ হাজার ৪১৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত, শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭৭ হাজার ৭০৬ জন এবং অন্যান্য কারণে অংশ নেয়নি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার রোগী শনাক্ত হলে ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। একটানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সশরীর ক্লাস শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবেদনে করোনায় বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এ চিত্রের বিপরীতে তুলে ধরা হয়নি কোনো সুপারিশ।