সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের আবেদন

দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠবারের মত বাড়াতে আবেদন করেছে তার পরিবার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা গতানুগতিক। তার পরিবার একটি আবেদন করেছেন, সচিবের দপ্তরে আবেদনটি আছে, এটা নিয়ম অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে।”

এর আগে গত ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মাসে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পরিবারের তরফ থেকে নতুন করে আবেদন করা হল।

প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত হল, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থাকবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে গত আড়াই বছর ধরে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

গতবছর নভেম্বরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। গত জুনে ওই হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়।

নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগে বলেছিলেন, শর্তসাপেক্ষে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে কারাগারে ফিরে আবেদন করলে সরকার তা বিবেচনা করতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের আবেদন

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪০:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠবারের মত বাড়াতে আবেদন করেছে তার পরিবার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা গতানুগতিক। তার পরিবার একটি আবেদন করেছেন, সচিবের দপ্তরে আবেদনটি আছে, এটা নিয়ম অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে।”

এর আগে গত ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মাসে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পরিবারের তরফ থেকে নতুন করে আবেদন করা হল।

প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত হল, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থাকবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে গত আড়াই বছর ধরে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

গতবছর নভেম্বরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। গত জুনে ওই হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়।

নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগে বলেছিলেন, শর্তসাপেক্ষে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে কারাগারে ফিরে আবেদন করলে সরকার তা বিবেচনা করতে পারে।