দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের মূল বক্তব্যটা হচ্ছে আমরা সেই গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে চাই, যার জন্য আমরা একাত্তরে যুদ্ধ করেছিলাম, বাহাত্তরে সংবিধান তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী এরশাদকে সরিয়ে আবার সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলাম। ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে আগের ঘোষণা আবার তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোট হলে বিএনপি ও অন্য দলগুলো বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এবার আমরা অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না, একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পাকিস্তান সরকার থেকে আরো নিকৃষ্ট। আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবনযাত্রার দিক থেকে এর থেকে ভালো ছিলাম। তার পরও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদ হরণ করত, সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আমরা আছি।

বিএনপি নেতা বলেন, এখন দেশে ১ লাখ ৯২ হাজার কোটিপতি আছে। এখানে গরিব মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে দাবি করে ফখরুল বলেন, এমন দেশকে কীভাবে উন্নয়নশীল দেশ বলা যায়?

দেশে সুশাসন নেই দাবি করে ফখরুল বলেন, এখন সুশাসন কী করে থাকবে? সরকারি কর্মকর্তা, এখনকার এমপি, চেয়ারম্যান কে কী করছে তার কোনো হিসাব নেই, জবাবদিহিতা নেই। তারা যা খুশি তা করছে। মেগা প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে।

সরকার দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘তারা বিভিন্ন আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য কথা বলা এবং লেখায় বাধা তৈরি করেছে। সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন এসব এখন অহরহ হচ্ছে, যার কারণে কেউ সাহস করে আর সত্য লিখছে না।’

ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনসহ জেলা বিএনপির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।