শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার: সামরিক জান্তার হামলায় ১১ শিশু নিহত

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তাবায়িন এলাকায় দেশটির সামরিক জান্তার হামলায় ১১ শিশু নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার তাবায়িনে জান্তার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে এ প্রাণহানি ঘটে। একে শিশু হত্যা বলে অভিহিত করেছে প্রতিরোধ বাহিনী। তবে জান্তা বলছে, তারা তাবায়িনে বিদ্রোহীদের হামলার জবাব দিয়েছে। খবর ইরাবতির গত শুক্রবার তাবায়িনের লেত ইয়েত কোনে গ্রামের একটি সন্ন্যাসী স্কুলে দুটি এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায় জান্তা। হামলায় ঘটনাস্থলে সাত শিশু নিহত হয়। আহত হন ৩ শিক্ষক ও ১৪ শিশু। পরে জান্তার স্থলসেনারা গ্রামটিতে অভিযান চালান। এ অভিযানে আরো দুই শিশু নিহত হয়। বিমান হামলায় নিহত সাত শিশুর লাশ নিয়ে যান জান্তা সেনা। এছাড়া আহত ব্যক্তিদের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রামটিতে কাচিন ইন্ডিপেনডেনস আর্মি (কেআইএ) ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সেনারা অভিযান শুরু করেছেন। হামলার আগে প্রতিরোধযোদ্ধারা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির ‘চরমপন্থিরা’ স্কুলটিতে লুকিয়ে ছিলেন। জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। পিডিএফের নেতা বো কিয়ার গি বলেন, তারা (জান্তা) যদি আমাদের কাউকে মারত, তাহলে তা মেনে নিতাম। কারণ, আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু তারা স্কুলের শিশুদের হত্যা করেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার উইটনেস বলছে, বিক্ষোভে বেসামরিক লোকজুনের বিরুদ্ধে ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ বিমান ব্যবহার করার বিষয়টি যাচাই করে দেখেছে তারা। তবে জান্তা বলছে, কেআইএ ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। হামলার পর সাগাইংসহ আশপাশের অঞ্চলের অন্য স্কুলগুলোয় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মিয়ানমার: সামরিক জান্তার হামলায় ১১ শিশু নিহত

প্রকাশিত সময় : ১১:১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তাবায়িন এলাকায় দেশটির সামরিক জান্তার হামলায় ১১ শিশু নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার তাবায়িনে জান্তার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে এ প্রাণহানি ঘটে। একে শিশু হত্যা বলে অভিহিত করেছে প্রতিরোধ বাহিনী। তবে জান্তা বলছে, তারা তাবায়িনে বিদ্রোহীদের হামলার জবাব দিয়েছে। খবর ইরাবতির গত শুক্রবার তাবায়িনের লেত ইয়েত কোনে গ্রামের একটি সন্ন্যাসী স্কুলে দুটি এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায় জান্তা। হামলায় ঘটনাস্থলে সাত শিশু নিহত হয়। আহত হন ৩ শিক্ষক ও ১৪ শিশু। পরে জান্তার স্থলসেনারা গ্রামটিতে অভিযান চালান। এ অভিযানে আরো দুই শিশু নিহত হয়। বিমান হামলায় নিহত সাত শিশুর লাশ নিয়ে যান জান্তা সেনা। এছাড়া আহত ব্যক্তিদের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রামটিতে কাচিন ইন্ডিপেনডেনস আর্মি (কেআইএ) ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সেনারা অভিযান শুরু করেছেন। হামলার আগে প্রতিরোধযোদ্ধারা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির ‘চরমপন্থিরা’ স্কুলটিতে লুকিয়ে ছিলেন। জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। পিডিএফের নেতা বো কিয়ার গি বলেন, তারা (জান্তা) যদি আমাদের কাউকে মারত, তাহলে তা মেনে নিতাম। কারণ, আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু তারা স্কুলের শিশুদের হত্যা করেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার উইটনেস বলছে, বিক্ষোভে বেসামরিক লোকজুনের বিরুদ্ধে ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ বিমান ব্যবহার করার বিষয়টি যাচাই করে দেখেছে তারা। তবে জান্তা বলছে, কেআইএ ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। হামলার পর সাগাইংসহ আশপাশের অঞ্চলের অন্য স্কুলগুলোয় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।