জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রাণের সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার বিকেলে জেলার মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী শাওনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দৈনিক বাংলাদেশে সমাচার’র সম্পাদক ও প্রকাশক, ড.খান আসাদুজ্জামান ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুস সালাম,৫নং বাকশিমইল ইউপি অধ্যক্ষ মোঃআঃমান্নান চেয়,সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি মোঃ মনিরুল আলম,
প্রধান অতিথি ড.খান আসাদুজ্জামান বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে লড়াকু একঝাঁক সাংস্কৃতিক কর্মীরা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠন করে। এ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সারা বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাস-সংস্কৃতি ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুষ্ঠু সংস্কৃতির ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৯৭৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুম, চিত্রনায়িকা কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে সাংস্কৃতিক জোট সংগঠনের কর্মীরা প্রথম রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। সারাহ বেগম কবরী সে সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।