কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে ব্যাপক মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দের কারণে ঘুমাতে পারেনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু, উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া, রহমতের বিল ও টেকনাফের হোয়াইক্যাং এলাকার প্রায় বিশ হাজার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এর আগে টানা ৯ দিন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে ভারী গোলাবারুদ।
জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে তিনটা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘুমধুমের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পিলার ১৮, ৩১, ৩৪, ৩৫ দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর মিয়ানমার হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা নিক্ষেপ করে। তখন বাংলাদেশের ঘুমধুম তমব্রুর মানুষ গভীর ঘুমে ছিল। বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলম বলেন, রাত ৩টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমার হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক মোটর বোমা ফেলার শব্দ শুনেছি।
তমব্রু বাজারের ব্যাবসায়ী মো. সরোয়ার জানান, তিনি পরিবার-পরিজন এবং পাড়া-প্রতিবেশিকে নিয়ে চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সীমান্তে যা দেখাচ্ছে তা নিয়ে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনায় আছি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দে আমাদের মাঝে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
স্থানীয় এক এনজিও কর্মী ফারহান বলেন, গত এক মাসের মধ্যে সোমবারের বিস্ফোরণের আওয়াজ ছিল ভয়াবহ শব্দের, তার পরিবারের কোনো সদস্যই রাতে আওয়াজের পর থেকে ঘুমাতে পারেননি ভয়ে।
অপর দিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত জুড়ে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ সীমান্তের বিভিন্ন সম্ভাব্য পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শঙ্কায় কঠোর নজর দারি রয়েছে।

রিপোর্টারের নাম 

























