সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির কথা শুনে হনুমানও হাসে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনপির সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ ছিলো না। যে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো, সেখানেও বিদ্যুৎ সব সময় থাকতো না। বিদ্যুৎ মাঝে-মধ্যে আসতো। তারা যখন এ ধরনের কথা বলে, তখন নিজেদের শুধু হাসি পায় না, আমার মনে হয় হনুমানও হাসে তাদের এ কথায়।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। এরপরে ভার্চ্যুয়ালি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে যোগ দেন।

‘লোডশেডিংয়ের কারণে কঙ্কাল নৌকায় উঠে নাচানাচি করছে’- বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ নিয়ে (লোডশেডিং) বিএনপি কথা বলে? যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছিলো। তাদের সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। আমার বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার আরো প্রায় এক বছর পর আমার গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার ব্যাখ্যা বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হওয়ার কারণে সারাদেশে ব্ল্যাকআউট হয়েছিলো কয়েক ঘণ্টার জন্য। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি আবার ঠিক করা হয়েছে। এরকম ব্ল্যাকআউট কিন্তু আমেরিকায়ও হয়। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে মাঝে-মধ্যে বেশ কয়েকবার সেখানে ব্ল্যাকআউট হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলো। অনেক উন্নত দেশেও এরকম হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় ২৪ ঘণ্টা ব্ল্যাকআউট ছিলো। কয়েক দফায় ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা এরকম ব্ল্যাকআউট ছিলো। সেদিন যেটা হয়েছে সেটা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ যে ব্যাখ্যাটি দিয়েছে, সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আবার পুনরায় চালু করা হচ্ছে এবং সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হচ্ছে। এজন্য লোডশেডিংটা একমাস আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ সংকট কেটে যাবে খুব সহসা, যেটা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পরিষ্কার করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির কথা শুনে হনুমানও হাসে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এনপির সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ ছিলো না। যে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো, সেখানেও বিদ্যুৎ সব সময় থাকতো না। বিদ্যুৎ মাঝে-মধ্যে আসতো। তারা যখন এ ধরনের কথা বলে, তখন নিজেদের শুধু হাসি পায় না, আমার মনে হয় হনুমানও হাসে তাদের এ কথায়।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। এরপরে ভার্চ্যুয়ালি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে যোগ দেন।

‘লোডশেডিংয়ের কারণে কঙ্কাল নৌকায় উঠে নাচানাচি করছে’- বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ নিয়ে (লোডশেডিং) বিএনপি কথা বলে? যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছিলো। তাদের সময় সারাদেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। আমার বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার আরো প্রায় এক বছর পর আমার গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার ব্যাখ্যা বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হওয়ার কারণে সারাদেশে ব্ল্যাকআউট হয়েছিলো কয়েক ঘণ্টার জন্য। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি আবার ঠিক করা হয়েছে। এরকম ব্ল্যাকআউট কিন্তু আমেরিকায়ও হয়। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে মাঝে-মধ্যে বেশ কয়েকবার সেখানে ব্ল্যাকআউট হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলো। অনেক উন্নত দেশেও এরকম হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় ২৪ ঘণ্টা ব্ল্যাকআউট ছিলো। কয়েক দফায় ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা এরকম ব্ল্যাকআউট ছিলো। সেদিন যেটা হয়েছে সেটা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ যে ব্যাখ্যাটি দিয়েছে, সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আবার পুনরায় চালু করা হচ্ছে এবং সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হচ্ছে। এজন্য লোডশেডিংটা একমাস আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ সংকট কেটে যাবে খুব সহসা, যেটা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পরিষ্কার করেছেন।