মাহমুদুল হক জালীস : তরুণদের আইডল, সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ বক্তা, ইসলামিক স্কলার আবরারুল হক আসিফ। তিনি অল্প কয়েকদিনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে যে ক’জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম আবরারুল হক আসিফ । জেনারেল লাইনে পড়াশোনা শুরু করলেও তার বেড়ে উঠা মাদ্রাসা লাইনে। তিনি ছোটবেলা থেকেই মাদ্রাসায়ও পড়াশোনা করেছন। হিফজ সমাপ্ত করেন ২০১১ সালে। তারপরে মাওলানা হওয়ার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পড়াশোনার শুরু জীবন থেকে তিনি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করে আসছেন। পড়াশোনা করছেন রাজশাহি ইসলামিয়া কাসেমী মাদ্রাসায়। গত বছর মাস্টার্স দেওয়ার কথা থাকলেও মাহফিলের চাপে দিতে পারেননি। তবে তিনি এ বছর পরীক্ষা দিবেন বলে জানিয়েছেন।
যেভাবে আলোচক হয়ে ওঠা: তিনি বলেন, মাস্টার্সের আগের বছর জামিয়া দারুল উসওয়া রাজশাহীতে ভর্তি হই। পড়াশোনা চলাকালীন সময় হঠাৎ মনে হয় সারাজীবন শুধু পরীক্ষায় নম্বর ওয়ান হওয়ার চিন্তা করে এসেছি এবং হয়েছিও বটে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমি দুইটা মিনিট মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে গোছালোভাবে কথা বলার সাহস পাই না। মানুষকে ইসলামের বাণী জানাতে পারি না। এগুলো ভেবে মনে বড় কষ্ট এবং জেদ শুরু হলো যে, আমাকে কথা বলা শিখতেই হবে ইসলাম প্রচারের জন্য। তখন পড়ালেখার পাশাপাশি শুরু করলাম বক্তৃতা অনুশীলন। শিখতে শিখতে বলতে বলতে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কৌশল আয়ত্ত করে ফেলি আলহামদুলিল্লাহ।
অল্প সময়ের মধ্যে বর্তমানে আবরারুল হক আসিফের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে যুক্ত হন প্রায় ২১ লাখের মতো মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন ইসলামিক পেইজে তার ভিডিওগুলো প্রতিনিয়ত কোটি কোটি মানুষ দেখেন।
আলোচনার ক্ষেত্রে কাকে ফলো করা হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে আবরারুল হক আসিফ জানান, আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে মিজানুর রহমান আজহারি হুজুরের কথা। এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করতে শিখেছি। আস্তে আস্তে তার কিছু কথার ধারা আমার মাঝেও চলে এসেছে। যার কারণে আরো বেশি মানুষ আমাকে শুনেন।
ভবিষ্যতে কি হতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে আবরারুল হক আসিফ জানান, দ্বীনের একনিষ্ঠ দাঈ হয়ে ইসলামের জন্য কাজ করতে চাই। পাশাপাশি নিজে একটি মাদ্রাসা খুলে দ্বীনের শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই।বিডি২৪লাইভ ডট কম