রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মেহেদী হাসান নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। আর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নান্নু মিয়া ও শাহিনুর বেগম।

রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে হাজির করা হয়। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে পলাতক থাকা এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. ফারুকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মামলার ১০ আসামি হলেন- ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, শাহিনুর বেগম, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, নান্নু মিয়া, ইমরান ও রাশিদ।

এরআগে, ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর ভুক্তভোগীর বাবা মোশারফ হোসেন পল্লবী থানায় এ হত্যা মামলা করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় লোকজনসহ তিনি মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেবে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা মেহেদীকে মারধর করে হত্যা করে। তার ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়। সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। এরপর ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























