বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইকুয়েডরে পুলিশের ওপর হামলা, নিহত ৫

ইকুয়েডরে কারাবন্দীদের স্থানান্তরের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিস্ফোরণে দেশটির অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো দুটি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। খবর-রয়টার্সের।

ইকুয়েডর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক পাচারের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। প্রেসিডেন্ট ল্যাসো এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুটি শহরে নয়টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার ভোরে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ছিল প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।

তিনি বলেন, গতরাত থেকে আজকের মধ্যে গুয়াকিল ও এসমেরালদাসে যা ঘটেছে তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ট্রান্স-ন্যাশনাল সংগঠিত অপরাধীচক্র সীমানা অতিক্রম করছে।

তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে এ হামলা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় গুয়াস ও এসমেরালদাস প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান জোরদার করা হবে এবং রাত ৯টা থেকে কারফিউ বলবৎ থাকবে বলেও জানা গেছে।

ল্যাসো এই হামলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যক্তিগত সফর বাতিল করেছেন। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াকিলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ছয়টি বিস্ফোরণের খবর পায় পুলিশ। শহরতলিতে একটি টহল গাড়িতে হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন।

এক টুইটার বার্তায় দেশটির পুলিশ আরও জানায়, একই দিনে আরও ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসমেরালদাসে তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবং বন্দী স্থানান্তরের প্রতিবাদে কারাগারের সাত কর্মকর্তাকে জিম্মি করা হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, পরে সমঝোতার মাধ্যমে ওই সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে মুক্ত করা হয়েছে। ইকুয়েডরের সবচেয়ে সহিংস কারাগার গুয়াকিলের পেনিটেনসিয়ারিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ৫১৫ বন্দীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তরের লক্ষ্য ভিড় কমানো এবং কারাগারে বন্দীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইকুয়েডরে পুলিশের ওপর হামলা, নিহত ৫

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

ইকুয়েডরে কারাবন্দীদের স্থানান্তরের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিস্ফোরণে দেশটির অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো দুটি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। খবর-রয়টার্সের।

ইকুয়েডর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক পাচারের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। প্রেসিডেন্ট ল্যাসো এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুটি শহরে নয়টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার ভোরে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ছিল প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।

তিনি বলেন, গতরাত থেকে আজকের মধ্যে গুয়াকিল ও এসমেরালদাসে যা ঘটেছে তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ট্রান্স-ন্যাশনাল সংগঠিত অপরাধীচক্র সীমানা অতিক্রম করছে।

তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে এ হামলা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় গুয়াস ও এসমেরালদাস প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান জোরদার করা হবে এবং রাত ৯টা থেকে কারফিউ বলবৎ থাকবে বলেও জানা গেছে।

ল্যাসো এই হামলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যক্তিগত সফর বাতিল করেছেন। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াকিলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ছয়টি বিস্ফোরণের খবর পায় পুলিশ। শহরতলিতে একটি টহল গাড়িতে হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন।

এক টুইটার বার্তায় দেশটির পুলিশ আরও জানায়, একই দিনে আরও ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসমেরালদাসে তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবং বন্দী স্থানান্তরের প্রতিবাদে কারাগারের সাত কর্মকর্তাকে জিম্মি করা হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, পরে সমঝোতার মাধ্যমে ওই সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে মুক্ত করা হয়েছে। ইকুয়েডরের সবচেয়ে সহিংস কারাগার গুয়াকিলের পেনিটেনসিয়ারিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ৫১৫ বন্দীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তরের লক্ষ্য ভিড় কমানো এবং কারাগারে বন্দীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।