মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনে কত কাপ চা খাবেন?

বিশ্বে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। এর বিভিন্ন প্রকার আছে এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। বিশেষ করে চিনি ছাড়া চা পান করলে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, তা হার্টের রোগ, ক্যানসার ও ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের কোষ মেরামতে ভূমিকা রাখে।

পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ে আছে মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লুরাইড, যা শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।

চায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রং চা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ এবং স্নায়ুবিক বার্তা পরিবহন ও রক্ত জমাট বাঁধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অপরদিকে গ্রিন টি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে এবং শরীরের টক্সিসিটি দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি লেবু চা-ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। দুধ চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন নষ্ট হওয়ার কারণে তা শরীরে গ্যাসের উদ্রেক করে। তাই অনেক দিন ধরে যাঁরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এবং আইবিএসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের দুধ চা এড়ানো উচিত বলে অভিমত পুষ্টিবিদদের।

দিনে কত কাপ চা খাবেন?

প্রতিদিন কতটুকু চা পান করা উচিত তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা হয়েছে। রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে তিন থেকে চার কাপ পান করা যেতে পারে।

বেশিরভাগ গবেষণার ফলাফল বলছে, সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত চা পান না করাই ভালো। প্রতিদিন চা পান ৪ কাপের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত।

কোন চা সবচেয়ে ভালো?

চা পানের ক্ষেত্রে প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার পছন্দের চায়ে কোনো চিনি বা সুইটেনার নেই। এমনকি কিছু ফ্লেভারড টি-তে কোনো ক্যালরি না থাকলেও কৃত্রিম সুইটেনার ও প্রিজারভেটিভ থাকে। ইতোমধ্যে তৈরিকৃত চা কেনার পরিবর্তে নিজে চা বানানোর চেষ্টা করুন। চা পাতাকে যত বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এটির ক্যাটেচিন তত অকার্যকর হয়। গ্রিন টি হলো তুলনামূলক কম প্রক্রিয়াজাত চা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।

পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমিত চা পানে অধিকাংশ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোকের কোনো ক্ষতি হয় না। চা হলো পানের জন্য খুব নিরাপদ পানীয়- এটি তখনই সমস্যার কারণ হতে পারে, যখন আপনি মাত্রা ছাড়িয়ে পান করবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দিনে কত কাপ চা খাবেন?

প্রকাশিত সময় : ১২:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। এর বিভিন্ন প্রকার আছে এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। বিশেষ করে চিনি ছাড়া চা পান করলে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, তা হার্টের রোগ, ক্যানসার ও ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের কোষ মেরামতে ভূমিকা রাখে।

পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ে আছে মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লুরাইড, যা শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।

চায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রং চা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ এবং স্নায়ুবিক বার্তা পরিবহন ও রক্ত জমাট বাঁধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অপরদিকে গ্রিন টি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে এবং শরীরের টক্সিসিটি দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি লেবু চা-ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। দুধ চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন নষ্ট হওয়ার কারণে তা শরীরে গ্যাসের উদ্রেক করে। তাই অনেক দিন ধরে যাঁরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এবং আইবিএসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের দুধ চা এড়ানো উচিত বলে অভিমত পুষ্টিবিদদের।

দিনে কত কাপ চা খাবেন?

প্রতিদিন কতটুকু চা পান করা উচিত তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা হয়েছে। রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে তিন থেকে চার কাপ পান করা যেতে পারে।

বেশিরভাগ গবেষণার ফলাফল বলছে, সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত চা পান না করাই ভালো। প্রতিদিন চা পান ৪ কাপের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত।

কোন চা সবচেয়ে ভালো?

চা পানের ক্ষেত্রে প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার পছন্দের চায়ে কোনো চিনি বা সুইটেনার নেই। এমনকি কিছু ফ্লেভারড টি-তে কোনো ক্যালরি না থাকলেও কৃত্রিম সুইটেনার ও প্রিজারভেটিভ থাকে। ইতোমধ্যে তৈরিকৃত চা কেনার পরিবর্তে নিজে চা বানানোর চেষ্টা করুন। চা পাতাকে যত বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এটির ক্যাটেচিন তত অকার্যকর হয়। গ্রিন টি হলো তুলনামূলক কম প্রক্রিয়াজাত চা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।

পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমিত চা পানে অধিকাংশ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোকের কোনো ক্ষতি হয় না। চা হলো পানের জন্য খুব নিরাপদ পানীয়- এটি তখনই সমস্যার কারণ হতে পারে, যখন আপনি মাত্রা ছাড়িয়ে পান করবেন।