বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার কাখোভকা বাঁধ

ইউক্রেনের রকেট হামলায় রাশিয়ানিয়ন্ত্রিত নোভা কাখোভকা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে শহরটির রুশ জরুরি সেবা সংস্থা।

রোববার রুশ জরুরি সেবা সংস্থার এক প্রতিনিধির বরাতে এ তথ্য জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাস।

রুশ জরুরি সেবা সংস্থার ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে রকেটটি বাঁধে আঘাত হানে। এ ধরনের হামলায় বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুবিশাল কাখোভকা বাঁধ যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত তাত্পর্য ধারণ করেছে। খেরসনের নিপ্রো নদীকে আটকে রেখেছে এ বাঁধ। আর এ এলাকাতেই নিজেদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী করে তুলেছে ইউক্রেনের বাহিনী।

অক্টোবর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে বাঁধটি ভাঙার পরিকল্পনার অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর পরবর্তী নিশানা ইউক্রেনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প লাগোয়া জলাধার।

রাশিয়া যদি এমন জলাধারে হামলা চালিয়ে বাঁধ ধ্বংস করে দেয়, তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।
সে সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য হলো নিপ্রো নদীর ওপরে নির্মিত কাখোভকা বাঁধ। এ বাঁধ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে খেরসনসহ ৮০টি এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে। দেশের দক্ষিণাংশে পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও পানির অভাবে বন্ধ হয়ে পড়বে।

সবশেষ গত ৩১ অক্টোবর ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ও পানিবিহীন হয়ে পড়েন কিয়েভের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা। একই অবস্থা দেখা দেয় দেশটির অন্য সাত অঞ্চলে।

সূত্র: রয়টার্স।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউক্রেনের রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার কাখোভকা বাঁধ

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

ইউক্রেনের রকেট হামলায় রাশিয়ানিয়ন্ত্রিত নোভা কাখোভকা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে শহরটির রুশ জরুরি সেবা সংস্থা।

রোববার রুশ জরুরি সেবা সংস্থার এক প্রতিনিধির বরাতে এ তথ্য জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাস।

রুশ জরুরি সেবা সংস্থার ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে রকেটটি বাঁধে আঘাত হানে। এ ধরনের হামলায় বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুবিশাল কাখোভকা বাঁধ যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত তাত্পর্য ধারণ করেছে। খেরসনের নিপ্রো নদীকে আটকে রেখেছে এ বাঁধ। আর এ এলাকাতেই নিজেদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী করে তুলেছে ইউক্রেনের বাহিনী।

অক্টোবর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে বাঁধটি ভাঙার পরিকল্পনার অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর পরবর্তী নিশানা ইউক্রেনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প লাগোয়া জলাধার।

রাশিয়া যদি এমন জলাধারে হামলা চালিয়ে বাঁধ ধ্বংস করে দেয়, তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।
সে সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য হলো নিপ্রো নদীর ওপরে নির্মিত কাখোভকা বাঁধ। এ বাঁধ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে খেরসনসহ ৮০টি এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে। দেশের দক্ষিণাংশে পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও পানির অভাবে বন্ধ হয়ে পড়বে।

সবশেষ গত ৩১ অক্টোবর ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ও পানিবিহীন হয়ে পড়েন কিয়েভের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা। একই অবস্থা দেখা দেয় দেশটির অন্য সাত অঞ্চলে।

সূত্র: রয়টার্স।