শীত পড়তে শুরু করেছে। অনেকেই আছেন শীতে অতিরিক্ত কাবু হয়ে পড়েন। কিছুতেই বিছানা ছেড়ে উঠতে চা না। গরম পোশাকে ঢেকেও শরীর গরম হয় না। সেক্ষেত্রে শরীর উষ্ণ রাখতে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু বিশেষ খাবার। এইসব খাবার পুষ্টির পাশাপাশি শরীরকে তরতাজা রাখবে। যেমন-
১. এমনিতে সারাবছর খেজুর খাওয়া ভালো। তবে সম্ভব না হলেও শীতের কয়েক মাস রোজ খেজুর খান। এতে থাকা পুষ্টি, খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শীতকালে শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখবে।
২. শীতের শরীর গরম রাখার মসলা আছে সব রান্নাঘরেই। সরিষা, গোল মরিচ, মেথি, জোয়ান এই সব উপাদান শীতে শরীর গরম রাখতে পারে। এগুলিকে রান্নায় দিয়ে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে, স্যুপে দিয়ে বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। এতে শীতে শরীর উষ্ণ থাকবে।
৩. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, পনির রাখুন। এগুলিতে ভিটামিন বি ১২ ও প্রোটিনের মত উপাদান থাকে। এই সব উপাদান আলস্য কাটায় এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৪. শীতে প্রতিদিন শাক-সবজি খান । এগুলিতে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, পটাশিয়াম পাওয়া যায়। মৌসুমি শাকসবজি শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও সবজি থেকে পাওয়া যায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শীতকালে শরীর গরম রাখতে বিভিন্ন সবজির স্যুপ করে খেতে পারেন। সবজি রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে এটাও মনে রাখা জরুরি যে কোনও সবজি অতিরিক্ত রান্না করলে এর গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
৫. শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা
৬. আপেলে রয়েছে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার। আপেলের স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার দুটোই আমাদের দেহের উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়াও আপেলে রয়েছে ৮৬% পানি যার ফলে আমরা শীতে কম পানি পান করলেও আমাদের দেহকে সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করবে।
৭. বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।
৮. সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী রসুন। পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন তিন, চার কোয়া রসুন সরাসরি বা রান্নায় ব্যবহার করে খেতে পারেন।
৯. শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্র বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের ঠাণ্ডা সেভাবে শরীরকে কাবু করতে পারে না।
১০. শীতের ব্রেকফাস্ট যেন কোনও দিনই বাদাম এবং কিশমিশ ছাড়া শেষ না হয়। কারণ এই ধরনের খাবারগুলো সারা দিন শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে।