বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৬২

ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২। আহত হয়েছেন ৩২৬ জন। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) দেশটির প্রধান দ্বীপ জাভা মাঝারি মাত্রার এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে। এতে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন। পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল ভূমিকম্পে ১৬২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিয়ানজুর শহর। মার্কিন ভূ–তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাও ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চল বলে নিশ্চিত করেছে।

৪৮ বছরের কুকু নামের একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সবকিছু চাপা পড়েছে। আমার সন্তানসহ আমিও চাপা পড়ি। কিন্তু ভাগ্যের জোরে আমরা বেঁচে গেছি।

তিনি কান্না করতে করতে আরও বলেন, চাপা পড়ার কারণে আমার দুটো সন্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। আমি তাদের খুঁড়ে বের করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমার আরও এক সন্তান এখনও নিখোঁজ। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অ্যানতারাকে জাতীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের উদ্ধারে তারা সহযোগিতা করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৬২

প্রকাশিত সময় : ১২:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২। আহত হয়েছেন ৩২৬ জন। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) দেশটির প্রধান দ্বীপ জাভা মাঝারি মাত্রার এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে। এতে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন। পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল ভূমিকম্পে ১৬২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিয়ানজুর শহর। মার্কিন ভূ–তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাও ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চল বলে নিশ্চিত করেছে।

৪৮ বছরের কুকু নামের একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সবকিছু চাপা পড়েছে। আমার সন্তানসহ আমিও চাপা পড়ি। কিন্তু ভাগ্যের জোরে আমরা বেঁচে গেছি।

তিনি কান্না করতে করতে আরও বলেন, চাপা পড়ার কারণে আমার দুটো সন্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। আমি তাদের খুঁড়ে বের করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমার আরও এক সন্তান এখনও নিখোঁজ। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অ্যানতারাকে জাতীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের উদ্ধারে তারা সহযোগিতা করছে।