রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যার পর ৬ টুকরা করা হয় আয়াতকে: পুলিশ

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় নিখোঁজ শিশু আয়াতকে হত্যার পর ছয় টুকরা করে পানিতে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আবির আলীর বরাতে শুক্রবার (২৫ ণভেম্বর) পুলিশ এ তথ্য জানায়।

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ৬ বছর বয়সী আয়াত। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পর দিন নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, ১৯ বছর বয়সী আবির আলী এক সময় আয়াতের দাদা বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। বর্তমানে তিনি আকমল আলী সড়কে থাকেন। কাজ করেন পোশাক কারখানায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবিরের বরাতে এসপি বলেন, ছয় মাস আগে তিনি রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পান। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলেন। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে তিনি শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।

১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।

এসপি আরও বলেন, আয়াতকে টুকরা করার কাজে ব্যবহৃত বঁটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেহের অংশগুলো উদ্ধারের জন্য আজ শুক্রবার থেকে ডুবুরিরা কাজ করছে।-ভোরের কাগজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হত্যার পর ৬ টুকরা করা হয় আয়াতকে: পুলিশ

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় নিখোঁজ শিশু আয়াতকে হত্যার পর ছয় টুকরা করে পানিতে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আবির আলীর বরাতে শুক্রবার (২৫ ণভেম্বর) পুলিশ এ তথ্য জানায়।

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ৬ বছর বয়সী আয়াত। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পর দিন নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, ১৯ বছর বয়সী আবির আলী এক সময় আয়াতের দাদা বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। বর্তমানে তিনি আকমল আলী সড়কে থাকেন। কাজ করেন পোশাক কারখানায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবিরের বরাতে এসপি বলেন, ছয় মাস আগে তিনি রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পান। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলেন। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে তিনি শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।

১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।

এসপি আরও বলেন, আয়াতকে টুকরা করার কাজে ব্যবহৃত বঁটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেহের অংশগুলো উদ্ধারের জন্য আজ শুক্রবার থেকে ডুবুরিরা কাজ করছে।-ভোরের কাগজ