সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গুসি শান্তি’ পুরস্কার পেলেন শিক্ষামন্ত্রী

এ বছর ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি পাবলিক সার্ভিস ও ডিপ্লোম্যাসিতে অবদান রাখায় এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গুসি শান্তি পুরস্কার ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত ‘গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। পৃথিবীব্যাপী শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক মনোজ্ঞ আয়োজনের মাধ্যমে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে দীপু মনিসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন ও ফিলিপাইনের ১৪ জনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, ডা. দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল অবধি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য আইন, স্বাস্থ্য-নীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি ছিল মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ডা. দীপু মনির প্রাগ্রাধিকার ক্ষেত্র। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার কেবিনেট মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে তার দলীয় নেত্রীর এবং দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

তাছাড়া লেখালেখি, শিক্ষকতা, পরামর্শ প্রদান, গবেষণা, এডভোকেসি কর্মসূচি পরিচালনা ইত্যাদি বহুবিধ কাজের পাশাপাশি ডা. দীপু মনি দুস্থ ও চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত মানুষের সেবায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নে জনমত গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।ভোরের কাগজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘গুসি শান্তি’ পুরস্কার পেলেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

এ বছর ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি পাবলিক সার্ভিস ও ডিপ্লোম্যাসিতে অবদান রাখায় এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গুসি শান্তি পুরস্কার ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত ‘গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। পৃথিবীব্যাপী শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক মনোজ্ঞ আয়োজনের মাধ্যমে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে দীপু মনিসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন ও ফিলিপাইনের ১৪ জনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, ডা. দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল অবধি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য আইন, স্বাস্থ্য-নীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি ছিল মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ডা. দীপু মনির প্রাগ্রাধিকার ক্ষেত্র। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার কেবিনেট মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে তার দলীয় নেত্রীর এবং দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

তাছাড়া লেখালেখি, শিক্ষকতা, পরামর্শ প্রদান, গবেষণা, এডভোকেসি কর্মসূচি পরিচালনা ইত্যাদি বহুবিধ কাজের পাশাপাশি ডা. দীপু মনি দুস্থ ও চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত মানুষের সেবায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নে জনমত গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।ভোরের কাগজ