সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এটা কোন ছাত্রলীগ: ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা কোন ছাত্রলীগ। কোনো শৃঙ্খলা নেই। পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে বিরক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যার নামে স্লোগান হবে তাকে পদ দেওয়া হবে না। এছাড়া কমিটির সদস্য ছাড়া সবাইকে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতেও বলেন তিনি।

ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ আমার চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে।

এদিকে, জুমার নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় বক্তব্য রাখতে পারেননি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক৷ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না।

এটা কোন ছাত্রলীগ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না। আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার। লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না।

তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকের অঙ্গীকার।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু।

এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলন যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এটা কোন ছাত্রলীগ: ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা কোন ছাত্রলীগ। কোনো শৃঙ্খলা নেই। পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে বিরক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যার নামে স্লোগান হবে তাকে পদ দেওয়া হবে না। এছাড়া কমিটির সদস্য ছাড়া সবাইকে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতেও বলেন তিনি।

ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ আমার চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে।

এদিকে, জুমার নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় বক্তব্য রাখতে পারেননি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক৷ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না।

এটা কোন ছাত্রলীগ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না। আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার। লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না।

তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকের অঙ্গীকার।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু।

এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলন যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ।