শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলে খুশি রাখুন স্ত্রীকে, বলছে গবেষণা

বিবাহিত জীবনে সবাই সুখী হতে চায়, তবে কেউ হয় আবার কেউ হয় না। বর্তমানে বেশিরভাগ বিয়েই ভেঙে যায় দাম্পত্য কলহের জেরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণগুলোর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব, শারীরিক চাহিদায় অপূর্ণতা কিংবা মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি।

সংসার টিকিয়ে রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েরই অবদান রাখতে হয়। তবে গবেষণা বলছে, সংসার সুখের করতে পুরুষের উচিত স্ত্রীকে খুশি রাখা। সংসারে সুখী হতে স্বামীর সুখের চেয়ে স্ত্রীর সুখ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছেন গবেষণায়। গড়ে ৩৯ বছর বিবাহিত এমন ২৯৪ দম্পতির উপর পরিচালিত হয় গবেষণাটি।

অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যে নারীরা দাম্পত্য জীবনে সুখী তারা ৬ পয়েন্টের মধ্যে বেশিরভাগই ৫ পয়েন্ট রেটিং দিয়েছেন। অন্যদিকে স্বামীদের রেটিং তাদের স্ত্রীদের চেয়ে বেশি ইতিবাচক ছিল।

বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানান, দীর্ঘমেয়াদী মিলনে একজন স্ত্রী যত বেশি সন্তুষ্ট হন ঠিক একজন স্বামীও তার জীবন নিয়ে ততই বেশি সুখবোধ করেন। একজন সুখী নারী তার সঙ্গীকে খুশি রাখেন। সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীকে খুশি রাখতে অবলম্বন করতে হবে পাঁচ উপায়। তা হলো:

১. স্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং সময় পেলেই তাকে উপহার দিন। বেশি দামি নয়, ছোটখাট কিছু উপহার দিয়েও কিন্তু আপনি খুশি রাখতে পারেন স্ত্রীকে। তবে সেই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যেন আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পায়, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। তবেই উপহার দেওয়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজে পাবেন। আর স্ত্রীও হবেন খুশি।

২. সব সমস্যায় স্ত্রীর পাশে থাকুন। বিয়ের পর নতুন পরিবারে এসে উঠেছেন আপনার স্ত্রী। আর নতুন পরিবারে সবাই তার অচেনা। নিজ পরিবারের সবার সামনে স্ত্রীর প্রশংসা করুন, তাকে সবার সঙ্গে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিন। এমনকি পরিবারের কার কী পছন্দ-অপছন্দ তাও স্ত্রীকে আগে থেকেই জানানোর দায়িত্বটাও আপনার।

৩. সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গে ঘরতে বের হন। অনেক নারীই তার সঙ্গীর উপর অভিযোগ করেন এ বিষয়ে। একটু বেড়িয়ে আসলে দুজনের মনই ভালো থাকবে। বছরে এক থেকে দু’বার একটু লম্বা ট্রিপ করুন।

৪. স্ত্রী অনেক বিষয় নিয়েই হয়তো আপনার সামনে কথা বলতে পারবে না। তাই আপনি তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে খোলাখুলি সব বিষয় নিয়ে কথা বলুন। যে আপনাকে সে বন্ধু ভাবতে পারে। স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার বিষয়গুলোও আপনার জানতে হবে। স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাইরে থাকলে স্ত্রীকে ঘন ঘন ফোন করুন। এসব বিষয় সব নারীকেই খুশি রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলে খুশি রাখুন স্ত্রীকে, বলছে গবেষণা

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

বিবাহিত জীবনে সবাই সুখী হতে চায়, তবে কেউ হয় আবার কেউ হয় না। বর্তমানে বেশিরভাগ বিয়েই ভেঙে যায় দাম্পত্য কলহের জেরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণগুলোর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব, শারীরিক চাহিদায় অপূর্ণতা কিংবা মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি।

সংসার টিকিয়ে রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েরই অবদান রাখতে হয়। তবে গবেষণা বলছে, সংসার সুখের করতে পুরুষের উচিত স্ত্রীকে খুশি রাখা। সংসারে সুখী হতে স্বামীর সুখের চেয়ে স্ত্রীর সুখ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছেন গবেষণায়। গড়ে ৩৯ বছর বিবাহিত এমন ২৯৪ দম্পতির উপর পরিচালিত হয় গবেষণাটি।

অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যে নারীরা দাম্পত্য জীবনে সুখী তারা ৬ পয়েন্টের মধ্যে বেশিরভাগই ৫ পয়েন্ট রেটিং দিয়েছেন। অন্যদিকে স্বামীদের রেটিং তাদের স্ত্রীদের চেয়ে বেশি ইতিবাচক ছিল।

বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানান, দীর্ঘমেয়াদী মিলনে একজন স্ত্রী যত বেশি সন্তুষ্ট হন ঠিক একজন স্বামীও তার জীবন নিয়ে ততই বেশি সুখবোধ করেন। একজন সুখী নারী তার সঙ্গীকে খুশি রাখেন। সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীকে খুশি রাখতে অবলম্বন করতে হবে পাঁচ উপায়। তা হলো:

১. স্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং সময় পেলেই তাকে উপহার দিন। বেশি দামি নয়, ছোটখাট কিছু উপহার দিয়েও কিন্তু আপনি খুশি রাখতে পারেন স্ত্রীকে। তবে সেই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যেন আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পায়, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। তবেই উপহার দেওয়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজে পাবেন। আর স্ত্রীও হবেন খুশি।

২. সব সমস্যায় স্ত্রীর পাশে থাকুন। বিয়ের পর নতুন পরিবারে এসে উঠেছেন আপনার স্ত্রী। আর নতুন পরিবারে সবাই তার অচেনা। নিজ পরিবারের সবার সামনে স্ত্রীর প্রশংসা করুন, তাকে সবার সঙ্গে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিন। এমনকি পরিবারের কার কী পছন্দ-অপছন্দ তাও স্ত্রীকে আগে থেকেই জানানোর দায়িত্বটাও আপনার।

৩. সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গে ঘরতে বের হন। অনেক নারীই তার সঙ্গীর উপর অভিযোগ করেন এ বিষয়ে। একটু বেড়িয়ে আসলে দুজনের মনই ভালো থাকবে। বছরে এক থেকে দু’বার একটু লম্বা ট্রিপ করুন।

৪. স্ত্রী অনেক বিষয় নিয়েই হয়তো আপনার সামনে কথা বলতে পারবে না। তাই আপনি তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে খোলাখুলি সব বিষয় নিয়ে কথা বলুন। যে আপনাকে সে বন্ধু ভাবতে পারে। স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার বিষয়গুলোও আপনার জানতে হবে। স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাইরে থাকলে স্ত্রীকে ঘন ঘন ফোন করুন। এসব বিষয় সব নারীকেই খুশি রাখে।