বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার তেলের দাম ৬০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হলো

রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যাতে তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করতে না পেরে সেজন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পোল্যান্ড তার সমর্থন দেওয়ার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার দাম বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়। এর ফলে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।

জি সেভেন ও অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মূল্যসীমা ৫ ডিসেম্বর বা তার আগেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দাম বেঁধে দেওয়ার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য এই জোট আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করতে পারে।’ পরবর্তী ব্যবস্থা কী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।

দাম বেঁধে দেওয়া বা প্রাইস ক্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি রোধ করার সাথে সাথে অপরিশোধিত তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার আয় হ্রাস করার লক্ষ্য। জোটের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ার কাছ থেকে কেউ তেল কিনতে পারবে না কিংবা রাশিয়া তেল বিক্রি করতে পারবে না। তবে এর আগে পোল্যান্ডে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তেলের দাম ৬০ ডলারের নিচে বেঁধে দেওয়ার  দাবি করেছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

রাশিয়ার তেলের দাম ৬০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হলো

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যাতে তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করতে না পেরে সেজন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পোল্যান্ড তার সমর্থন দেওয়ার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার দাম বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়। এর ফলে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।

জি সেভেন ও অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মূল্যসীমা ৫ ডিসেম্বর বা তার আগেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দাম বেঁধে দেওয়ার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য এই জোট আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করতে পারে।’ পরবর্তী ব্যবস্থা কী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।

দাম বেঁধে দেওয়া বা প্রাইস ক্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি রোধ করার সাথে সাথে অপরিশোধিত তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার আয় হ্রাস করার লক্ষ্য। জোটের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ার কাছ থেকে কেউ তেল কিনতে পারবে না কিংবা রাশিয়া তেল বিক্রি করতে পারবে না। তবে এর আগে পোল্যান্ডে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তেলের দাম ৬০ ডলারের নিচে বেঁধে দেওয়ার  দাবি করেছিল।