মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের হাসপাতালগুলো পূর্ণ হচ্ছে করোনা রোগী দিয়ে

সংক্রমণ বাড়ায় করোনা রোগীদের দিয়ে চীনের হাসপাতালগুলো পূর্ণ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তা ডা. মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) ব্যস্ত থাকলেও কর্মকর্তারা বলছেন সংখ্যা ‘আপেক্ষিকভাবে কম।’ চীনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বুধবার কোভিডের কারণে কেউ মারা যায়নি, তবে রোগের প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বেইজিং এবং অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলো করোনার রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সাল থেকে চীন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শূন্য কোভিড নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরে ডিসেম্বরে বিশ্বের কিছু কঠিনতম কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী বছর নাগাদ দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠী হওয়ায় এক্ষেত্রে বয়স্কদের মৃত্যু হার বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও সরকার প্রকাশিত তালিকায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান ডা. রায়ান এই পরিস্থিতিতে চীনকে সাম্প্রতিক সংক্রমণের বিষয়ে আরও বেশি তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনে, যা বলা হচ্ছে, তা হল আইসিইউতে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক রোগী, তবে ধারণা করা হচ্ছে আইসিইউগুলো পূর্ণ হচ্ছে। আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছি অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসটিকে কেবল জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে ঠেকানো কঠিন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

চীনের হাসপাতালগুলো পূর্ণ হচ্ছে করোনা রোগী দিয়ে

প্রকাশিত সময় : ০৮:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

সংক্রমণ বাড়ায় করোনা রোগীদের দিয়ে চীনের হাসপাতালগুলো পূর্ণ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তা ডা. মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) ব্যস্ত থাকলেও কর্মকর্তারা বলছেন সংখ্যা ‘আপেক্ষিকভাবে কম।’ চীনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বুধবার কোভিডের কারণে কেউ মারা যায়নি, তবে রোগের প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বেইজিং এবং অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলো করোনার রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সাল থেকে চীন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শূন্য কোভিড নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরে ডিসেম্বরে বিশ্বের কিছু কঠিনতম কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী বছর নাগাদ দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠী হওয়ায় এক্ষেত্রে বয়স্কদের মৃত্যু হার বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও সরকার প্রকাশিত তালিকায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান ডা. রায়ান এই পরিস্থিতিতে চীনকে সাম্প্রতিক সংক্রমণের বিষয়ে আরও বেশি তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনে, যা বলা হচ্ছে, তা হল আইসিইউতে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক রোগী, তবে ধারণা করা হচ্ছে আইসিইউগুলো পূর্ণ হচ্ছে। আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছি অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসটিকে কেবল জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে ঠেকানো কঠিন।’