বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। বড়দিনকে কেন্দ্র করে টানা তিন দিনের ছুটিতে এই সমুদ্র সৈকত এখন কানায় কানায় পূর্ণ।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকরা কেউ সমুদ্রে সাতার কাটছেন, কেউ ঘোড়ায় চরে ঘুরছেন, আবার কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

সৈকতের জিরো পয়েন্ট ছাড়াও শুটকি পল্লী, লেম্বুর চর, তিন নদীর মোহনা, ঝাউবন, গঙ্গামতি ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল স্পটে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। এতে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ইশরাত রহমান বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। তবে শুক্রবার পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা। বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে।’

সৈকত সংলগ্ন চা-বিস্কুট বিক্রেতা আলমাছ মিয়া বলেন, ‘আজ পর্যটকের সংখ্যা বেশি। বিক্রিও হয়েছে ভালো। এমন থাকলে আমরা লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব।’

খুলনা থেকে আসা ইকরামুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছি। বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। তবে হোটেল ভাড়া একটু বেশি মনে হয়েছে। যেই রুম কক্সবাজারে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যায়, সেটা এখানে চার হাজার টাকায় নিতে হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আরেক পর্যটক লোকমান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দশ বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে আনন্দ করেছি। বেশ ভালোই লাগছে। তবে খাবারের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’ কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’-রাইজিংবিডি.কম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা

প্রকাশিত সময় : ১১:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। বড়দিনকে কেন্দ্র করে টানা তিন দিনের ছুটিতে এই সমুদ্র সৈকত এখন কানায় কানায় পূর্ণ।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকরা কেউ সমুদ্রে সাতার কাটছেন, কেউ ঘোড়ায় চরে ঘুরছেন, আবার কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

সৈকতের জিরো পয়েন্ট ছাড়াও শুটকি পল্লী, লেম্বুর চর, তিন নদীর মোহনা, ঝাউবন, গঙ্গামতি ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল স্পটে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। এতে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ইশরাত রহমান বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। তবে শুক্রবার পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা। বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে।’

সৈকত সংলগ্ন চা-বিস্কুট বিক্রেতা আলমাছ মিয়া বলেন, ‘আজ পর্যটকের সংখ্যা বেশি। বিক্রিও হয়েছে ভালো। এমন থাকলে আমরা লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব।’

খুলনা থেকে আসা ইকরামুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছি। বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। তবে হোটেল ভাড়া একটু বেশি মনে হয়েছে। যেই রুম কক্সবাজারে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যায়, সেটা এখানে চার হাজার টাকায় নিতে হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আরেক পর্যটক লোকমান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দশ বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে আনন্দ করেছি। বেশ ভালোই লাগছে। তবে খাবারের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’ কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’-রাইজিংবিডি.কম