বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে স্থবির জনজীবন

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অব্যাহত এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 

বর্তমানে প্রতিদিনই রাত থেকে সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো জেলা। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে ফের বাড়ছে শীত।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস বলছেন আবহাওয়া দপ্তর।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও উত্তাপ তেমন বেশি একটা স্থায়ী থাকছে না। দুপুরে গড়াতেই হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করে। সন্ধার পর শুরু হয় শীতের দাপট। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন এলাকা। ফলে সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

এদিকে বিপাকে রয়েছেন যানবাহন চালকরাও। সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাদের। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তরের হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। দিনের থেকে রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে বলেও জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন, তবে মৃত্যুর তথ্য সত্য নয়: ইনকিলাব মঞ্চ

তীব্র শীতে স্থবির জনজীবন

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অব্যাহত এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 

বর্তমানে প্রতিদিনই রাত থেকে সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো জেলা। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে ফের বাড়ছে শীত।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস বলছেন আবহাওয়া দপ্তর।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও উত্তাপ তেমন বেশি একটা স্থায়ী থাকছে না। দুপুরে গড়াতেই হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করে। সন্ধার পর শুরু হয় শীতের দাপট। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন এলাকা। ফলে সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

এদিকে বিপাকে রয়েছেন যানবাহন চালকরাও। সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাদের। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তরের হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। দিনের থেকে রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে বলেও জানান তিনি।