রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক ব্যাক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত আব্দুস সাত্তার মোল্লা (৫৫) এর স্ত্রী সেলীনা বিবি থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা না নিয়ে পুলিশ লিখিত অভিযোগ নিয়েছেন। বাদী লিখিত অভিযোগের রিসিভ কপি বার বার চাইলেও থানা থেকে তাকে লিখিত অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্র ও সরোজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাগমারার হামিরকুৎসার কোনাবাড়িয়া উত্তর পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রæতার জের ধরে অদ্য মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক জিএমবি ক্যাডার সহ ৯ জন নিয়ে এসে আব্দুস সাত্তার মোল্লা দুলুকে (৫৫) হাসুয়া, কুড়াল, সাবল এবং লোহার রড দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার বাস্তুবাড়ীতে তাকে আক্রমন করে তার মাথায় গুরুত্বর জখম সহ হাতে পায়ে এবং শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত বিক্ষত করে। পরে তার পরিবার ও এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে জিএমবি ক্যাডারদের হাত থেকে দুলুকে উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ক্যাডাররা হলেন, ১। আবেদ আলী(৫৫), ২। আনসার (৫০), ৩। কামাল (৪৫), ৪। জামাল (৩৫) সর্ব পিতা আহাদ আলী (৭০) ৬। মোঃ রাকিব (১৭), পিতা-আবেদ আলী, ৭। আক্কাস (৫৫), পিতা- সাদেক আলী, ৮। আলাউদ্দিন (১৮), পিতা- আনছার, ৯। মুঞ্জুর, পিতা- নজির উদ্দিন, সর্ব সাং- কোনাবাড়িয়া। স্থানীয় সাংবাদিকরা আহত সাত্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ৬মাস আগে মাত্র তিন শতক আমার খাজনা খারিজকৃত জমি স্থানীয় পুলিশকে টাকা দিয়ে আমাদেরকে অন্যায় ভাবে হয়রানি করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে কোন সহযোগিতা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে পড়ি। এ ব্যাপারে ভাগনদি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এব্যাপারে ডিউটি অফিসার আব্দুল মজিদ এর সাথে কথা বলেন তিনি বলতে পারবেন। আব্দুল মজিদের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আব্দুল মজিদ এর নাম্বার সংগ্রহ করে তার মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কোনাবাড়িয়া,তালঘরিয়া বাজারের একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, আব্দুস সাত্তার মোল্লা ওরফে দুলুর মত একজন ভালো মানুষকে মারপিট করে জখম করার পরও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উব্ধ্র্তন কতৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেন। প্রতিপক্ষ আবেদ আলীর স্ত্রী বলেন, ওরাও আমার স্বামী সহ অনেককেই মারপিট করে আহত করে। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারে নি।