বছরের অন্য সময়ে নিয়মিত মোজা না পরলেও শীতের সময় মোজা চাই-ই-চাই। শীতকালে পা ফাটার সমস্যাও বাড়ে। তাই মোজা পরে রাখতেই পছন্দ করেন অনেকে। মোজা পরায় অনেকের পায়ে প্রবল দুর্গন্ধ তৈরি হয়। অফিস-আদালতে, আড্ডায় কিংবা অনুষ্ঠানে মোজা থেকে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধের ফলে লজ্জায় পড়তে হয়। পায়ে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রোমোডোসিস’। পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাকটেরিয়া মিশে গিয়ে তৈরি হয় বিকট গন্ধ। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে হাতের কাছেই। >> ঘাম কম হোক বা বেশি, চামড়ার যত্ন ও ঘামের গন্ধ থেকে বাঁচতে সুতির মোজা ব্যবহার করুন। সিন্থেটিক মোজা পরলে ঘাম বেশি হয়। >> খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনুন, খুব মশলাদার খাবার বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। বদহজম বা অম্লতা ঘন ঘন হলে তা ঘামের গন্ধ আরও বিশ্রি হয়। >> চা-কফির নেশা থাকলে এড়িয়ে চলুন। যে কোনও উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে সাহায্য করে। তাতে স্নায়ু উত্তেজিত হয় পরোক্ষে। ফলে সহজেই ঘাম হয়। >> জুতোকে মাঝেমাঝেই রোদে দিন। জুতোর ভিতরে আলো-হাওয়া পৌঁছলে ছত্রাক, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমে। একই মোজা পর পর দু’দিন ব্যবহার করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। অনেকেরই এই প্রবণতা থাকে। তা অত্যন্ত বদভ্যাস। >> মোজা পরলেই পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল যারা, তারা বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে লবণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো। লবণ ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে লবণ পানির জুড়ি নেই।