বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাজিরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত ৬

গুরুতর অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে এসে সামনে থাকা একটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে ঢুকে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে রোগী-চালকসহ ছয়জন প্রাণ হারান। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও দুর্ঘটনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালককেই দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের ধারণা, অ্যাম্বুলেন্স চালকের চোখে ঘুম চলে আসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাত চারটার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮), রোগীর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), গাড়ি চালক জিলানি (২৮), গাড়ির হেলপার রবিউল ইসলাম (২৬) ও সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এ ছাড়া মাসুদ রানা দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।

পটুয়াখালীর অসুস্থ জাহানারা বেগমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হচ্ছিল। তাকে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ছিল বলে জানা গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতুর কাছে ঢাকামুখী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার ধরন দেখে চালকের চোখে ঘুম চলে আসায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চালক ও তার সহযোগী এতে প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে যান।  

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎ থানার পাশে বিকট চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উঠে আসি। এসে দেখি, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই ছয়জন লাশ হয়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে এনে তাদের নিয়ে গাড়ি ও লাশগুলো উদ্ধার করি।’ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এনামুল হক সুমন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনার শিকার গাড়িগুলো সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাই এবং লাশগুলো উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।’

হাইওয়ে ফরিদপুর সার্কেল এএসপি মো. মারুফ হাসান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা এলে তাদের হাতে মরদেহগুলো তুলে দেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন, তবে মৃত্যুর তথ্য সত্য নয়: ইনকিলাব মঞ্চ

জাজিরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত ৬

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

গুরুতর অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে এসে সামনে থাকা একটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে ঢুকে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে রোগী-চালকসহ ছয়জন প্রাণ হারান। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও দুর্ঘটনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালককেই দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের ধারণা, অ্যাম্বুলেন্স চালকের চোখে ঘুম চলে আসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোররাত চারটার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮), রোগীর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), গাড়ি চালক জিলানি (২৮), গাড়ির হেলপার রবিউল ইসলাম (২৬) ও সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এ ছাড়া মাসুদ রানা দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।

পটুয়াখালীর অসুস্থ জাহানারা বেগমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হচ্ছিল। তাকে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ছিল বলে জানা গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতুর কাছে ঢাকামুখী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার ধরন দেখে চালকের চোখে ঘুম চলে আসায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চালক ও তার সহযোগী এতে প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে যান।  

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎ থানার পাশে বিকট চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উঠে আসি। এসে দেখি, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই ছয়জন লাশ হয়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে এনে তাদের নিয়ে গাড়ি ও লাশগুলো উদ্ধার করি।’ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এনামুল হক সুমন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনার শিকার গাড়িগুলো সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাই এবং লাশগুলো উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।’

হাইওয়ে ফরিদপুর সার্কেল এএসপি মো. মারুফ হাসান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা এলে তাদের হাতে মরদেহগুলো তুলে দেওয়া হবে।