রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় বাসচাপায় নাদিয়া সুলতানা (২১) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, আমাদের ৪ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব। তবে আরও একটি কথা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, যদি আজ থেকে রাস্তায় ভিক্টর ক্লাসিকের কোনো বাস চলাচল করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামব। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ (ডিসি) কমিশনার মো. মোর্শেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাসচালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা। তাদের আজ সকালেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন ভিক্টর ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহন বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা আজ থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানিয়েছে নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করার। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এ ছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশন দেখবে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরনিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন। এদিকে আজ সকালে ঘাতক বাসের চালক লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। নাদিয়া আক্তার নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবার নাম জাহাঙ্গীর মৃধা। বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি সদর ইউনিয়নের পূর্বনেতা গ্রামে। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় থাকেন। রাজধানীর আশকোনা এলাকায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন নাদিয়া।