মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৮

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের একটি মসজিদে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে  ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জনের বেশি। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিস্ফোরণে হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ বলেছেন, মসজিদের ভেতরে উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। অনেকেই মসজিদের ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, আজ সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকার ওই মসজিদে যখন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন যোহরের নামাজ চলছিল সেখানে। সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ মুসল্লির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ওই মসজিদে যোহরের নামাজের সময় ২০০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখাপাত্র মোহাম্মদ আসিম।

ঘটনাস্থল থেকে ডনের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শক্তিশালী বিস্ফোরণের ধাক্কায় মসজিদ ভবনের একাংশের দেয়াল ধসে গেছে এবং নামাজের জামাতে যারা সামনের সারিতে ছিলেন তাদের অনেকেই ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন।

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের সদস্যদের পাশাপাশি তৎপরতা শুরু করেছেন সাধারণ লোকজনও।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণের সময় তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, এটা শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। বিস্ফোরণের পর সর্বত্র ধোঁয়া উড়ছিল।

বোমাটি আগে থেকেই মসজিদে পেতে রাখা হয়েছিল নাকি এটি আত্মঘাতী হামলা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের সব সড়ক ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামাবাদেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ প্রমাণ করে, হামলায় জড়িতদের ‘ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’

দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান এক টুইটবার্তায় এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী আত্মঘাতী হামলা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এনসিপির মুখপাত্র হলেন আসিফ মাহমুদ, করবেন না নির্বাচন

পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৮

প্রকাশিত সময় : ০৫:১১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের একটি মসজিদে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে  ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জনের বেশি। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিস্ফোরণে হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ বলেছেন, মসজিদের ভেতরে উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। অনেকেই মসজিদের ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, আজ সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকার ওই মসজিদে যখন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন যোহরের নামাজ চলছিল সেখানে। সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ মুসল্লির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ওই মসজিদে যোহরের নামাজের সময় ২০০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখাপাত্র মোহাম্মদ আসিম।

ঘটনাস্থল থেকে ডনের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শক্তিশালী বিস্ফোরণের ধাক্কায় মসজিদ ভবনের একাংশের দেয়াল ধসে গেছে এবং নামাজের জামাতে যারা সামনের সারিতে ছিলেন তাদের অনেকেই ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন।

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের সদস্যদের পাশাপাশি তৎপরতা শুরু করেছেন সাধারণ লোকজনও।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণের সময় তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, এটা শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। বিস্ফোরণের পর সর্বত্র ধোঁয়া উড়ছিল।

বোমাটি আগে থেকেই মসজিদে পেতে রাখা হয়েছিল নাকি এটি আত্মঘাতী হামলা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের সব সড়ক ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামাবাদেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ প্রমাণ করে, হামলায় জড়িতদের ‘ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’

দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান এক টুইটবার্তায় এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী আত্মঘাতী হামলা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।