সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইট পোশাক যখন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

আধুনিক ফ্যাশনের জন্য প্রায়ই নতুন ধরনের পোশাক আমাদের ওয়ারড্রোবে জায়গা করে নিচ্ছে। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেকেই এখন বেছে নিচ্ছেন টাইট পোশাক। এসব পোশাকে নিজেকে দেখতে হয়তো ভালো লাগে, কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। টাইট পোশাক পরিধানে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে-

অ্যাসিডিটি হয়

টাইট পোশাক পরলে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে, যার ফলে খাদ্যনালীতে অ্যাসিড জমা হয়। এতে অম্বল ও অ্যাসিডিটি হয়।

অসারতা

খুব টাইট জিনস বা লেগিংস পরলে উরুর স্নায়ুতে চাপ পড়ে, যার ফলে পায়ে ঝিমঝিম, অসারতা এবং জ্বালা হতে শুরু করে।

আকৃতি ঠিক থাকে না

খুব টাইট জিনস, স্কার্ট বা টাইট পোশাক পরে কেবল উঠতে-বসতে অথবা হাঁটতেই অসুবিধা হয় না, এতে শরীরের আকৃতি এবং ভঙ্গিও নষ্ট হয়।

পেশির ওপর চাপ পড়ে

দীর্ঘক্ষণ টাইট পোশাক পরে থাকলে পেশি ও জয়েন্টে চাপ পড়ে। মেরুদণ্ড, পেট ও কোমরের ইচের অংশের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পেট, পিঠ, কোমর ও পায়ে ব্যথা হতে পারে। খুব টাইট পোশাক পরলে হাঁটার ক্ষমতাও কমে যায়।

ত্বকের সমস্যা

টাইট পোশাক শরীরের সঙ্গে একেবারে চেপে বসে থাকে। এর ফলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে লালচে ভাব ও চুলকানি হতে পারে।

ইনফেকশনের ঝুঁকি

টাইট জিনস, লেগিংস, শেপ ওয়্যার বা কোনো পোশাক পরলে গোপনাঙ্গ সর্বদা আর্দ্র থাকে, যার ফলে ইস্ট ইনফেকশন এবং ইউটিআই হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এতে গোপনাঙ্গে চুলকানি ও ব্যথা হতে পারে।

ভেরিকোস ভেইন

স্কিন টাইট জামাকাপড় পরলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। যে কারণে ত্বকে নীল উত্থিত শিরা দেখা দেয়, যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ভেরিকোস ভেইন।

রক্ত সঞ্চালনে বাধা

টাইট পোশাকে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। বডি শেপার খুব টাইট হয় এবং ত্বকের সঙ্গে একেবারে লেগে থাকে। দীর্ঘক্ষণ এটি পরে থাকলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হয় এবং রক্তচলাচলেও প্রভাব পড়ে। টাইট পোশাক ত্বককে সংকুচিত করে। যে কারণে রক্ত প্রবাহ বিগড়ে যায়। এতে শরীর আরও ক্লান্ত বোধ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

টাইট পোশাক যখন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আধুনিক ফ্যাশনের জন্য প্রায়ই নতুন ধরনের পোশাক আমাদের ওয়ারড্রোবে জায়গা করে নিচ্ছে। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেকেই এখন বেছে নিচ্ছেন টাইট পোশাক। এসব পোশাকে নিজেকে দেখতে হয়তো ভালো লাগে, কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। টাইট পোশাক পরিধানে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে-

অ্যাসিডিটি হয়

টাইট পোশাক পরলে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে, যার ফলে খাদ্যনালীতে অ্যাসিড জমা হয়। এতে অম্বল ও অ্যাসিডিটি হয়।

অসারতা

খুব টাইট জিনস বা লেগিংস পরলে উরুর স্নায়ুতে চাপ পড়ে, যার ফলে পায়ে ঝিমঝিম, অসারতা এবং জ্বালা হতে শুরু করে।

আকৃতি ঠিক থাকে না

খুব টাইট জিনস, স্কার্ট বা টাইট পোশাক পরে কেবল উঠতে-বসতে অথবা হাঁটতেই অসুবিধা হয় না, এতে শরীরের আকৃতি এবং ভঙ্গিও নষ্ট হয়।

পেশির ওপর চাপ পড়ে

দীর্ঘক্ষণ টাইট পোশাক পরে থাকলে পেশি ও জয়েন্টে চাপ পড়ে। মেরুদণ্ড, পেট ও কোমরের ইচের অংশের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া পেট, পিঠ, কোমর ও পায়ে ব্যথা হতে পারে। খুব টাইট পোশাক পরলে হাঁটার ক্ষমতাও কমে যায়।

ত্বকের সমস্যা

টাইট পোশাক শরীরের সঙ্গে একেবারে চেপে বসে থাকে। এর ফলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে লালচে ভাব ও চুলকানি হতে পারে।

ইনফেকশনের ঝুঁকি

টাইট জিনস, লেগিংস, শেপ ওয়্যার বা কোনো পোশাক পরলে গোপনাঙ্গ সর্বদা আর্দ্র থাকে, যার ফলে ইস্ট ইনফেকশন এবং ইউটিআই হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এতে গোপনাঙ্গে চুলকানি ও ব্যথা হতে পারে।

ভেরিকোস ভেইন

স্কিন টাইট জামাকাপড় পরলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। যে কারণে ত্বকে নীল উত্থিত শিরা দেখা দেয়, যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ভেরিকোস ভেইন।

রক্ত সঞ্চালনে বাধা

টাইট পোশাকে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। বডি শেপার খুব টাইট হয় এবং ত্বকের সঙ্গে একেবারে লেগে থাকে। দীর্ঘক্ষণ এটি পরে থাকলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হয় এবং রক্তচলাচলেও প্রভাব পড়ে। টাইট পোশাক ত্বককে সংকুচিত করে। যে কারণে রক্ত প্রবাহ বিগড়ে যায়। এতে শরীর আরও ক্লান্ত বোধ হয়।