শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত বাংলাদেশি যুবক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার জামছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সালুডং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

আহত যুবকের নাম গোলাম আকবর (২৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা জামছড়ি এলাকার ছৈয়দ আজিমের ছেলে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ইউএনও রোমেন শর্মা বলেন, জামছড়ি সংলগ্ন ৪৫ সীমান্ত পিলার এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি তিন থেকে চারজন কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আকবর আহত হন। সঙ্গীরা আকবরকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মো. রিপন চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যায় মাইন বিস্ফোরণে আহত এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ওই যুবকের বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। এ ছাড়া স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত বাংলাদেশি যুবক

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার জামছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সালুডং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

আহত যুবকের নাম গোলাম আকবর (২৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা জামছড়ি এলাকার ছৈয়দ আজিমের ছেলে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ইউএনও রোমেন শর্মা বলেন, জামছড়ি সংলগ্ন ৪৫ সীমান্ত পিলার এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি তিন থেকে চারজন কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আকবর আহত হন। সঙ্গীরা আকবরকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মো. রিপন চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যায় মাইন বিস্ফোরণে আহত এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ওই যুবকের বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। এ ছাড়া স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে।