সারা বিশ্বের নারী, যারা কাজ করেন এবং ঘোরে ও বাইরে দুই দিক সামাল দেন তাঁদেরকে সম্মান জানাতে এই দিনটি সমগ্র বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় । নারী দিবস সর্বপ্রথম আমেরিকায় পালিত হয় ১৯০৯ সালে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। পরে ৮ মার্চ এই দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একে সম্মিলিত জাতীয় পুঞ্জের আন্তর্জাতিক শান্তি ও মহিলাদের অধিকার দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”পৃথিবীতে কোনো কিছু পুরুষের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকে হতে পারে সেটি তার মা, স্ত্রী বা অন্য কোনো প্রিয় নারী । একটি পরিবারকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে একজন মা একজন নারী তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো দিয়ে দেয়। এই মানব সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে একজন নারী। আমাদের দেশের নারীরা বর্তমানে প্রতিটা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে । যেমন : শিক্ষা,রাজনীতি, সমাজসেবা মূলক কাজ, চাকরি ইত্যাদি। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সংসদের স্পিকার একজন নারী এছাড়াও দেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্ম ক্ষেত্রে নারীরা স্থান পেয়েছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা আমাদের দেশের নারীদের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে এসেছে।এত কিছুর পরও কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীরা আজও এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাদের নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত সামাজিক ভাবে, পারিবারিক ভাবে অত্যাচারীত হচ্ছে। আমরা নারীরা ঠিক জানিনা আমাদের ক্ষমতা কতটা। আমরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না। আমরা নারীরা অল্পে সন্তুষ্ট। আমরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে দিধা বোধ করি। এর কারণ আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক ব্যবস্থা। আমাদের ছোট থেকে এভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল, সবচেয়ে বর্ণময় কবিতার চেয়েও আকর্ষণীয় হলো নারী । একটি পরিবারের স্তম্ভ হলো নারী।তাই এই নারী দিবসে সকল নারীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা। সকল নারী তার যোগ্য সম্মান ও অধিকার পাক। আর নারীদের হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে দেখা হোক।
লেখক :মোসা : তামান্না আকতার তন্নি বিভাগ : চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়