চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরায় তুলার গুদামে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। রোববার (১২ মার্চ) সকালে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর ইউনিট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ জানান, ইউনিটেক্সের গোডাউনে তুলার পরিমাণে বেশি (২৭০০ টন) হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। নির্বাপণ করার পরও কিছুক্ষণ পর স্তুপের নীচ থেকে আগুন লেগে আরেক অংশে ছড়াচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রায় ১০ একর আয়তনের গোডাউনের চারদিকের দেয়াল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে চতুর্দিক থেকে ফায়ার টেন্ডার (পানি ছড়ানোর মেশিন) প্রবেশ করানো হচ্ছে। তিনি জানান, এখন ঘটনাস্থলে এক্সাভেটর ও পেলোডার মেশিন ব্যবহার করে তুলার স্তুপ অপসারণ করে সেখানে পানি দেওয়া হচ্ছে। তবে এই বিপুল পরিমাণ পানির উৎস আশেপাশে নেই। ক্যান্টনমেন্ট, ভাটিয়ারি, বাড়বকুন্ডসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে পানির যোগান দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের খাল, পুকুর ও রিজার্ভারের পানি প্রায় শেষ বলেও তিনি জানান। তাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নে অবস্থিত নেমসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে অবস্থিত ‘এসএল’ গ্রুপের মালিকানাধীন ‘ইউনিটেক্স গ্রুপ’ এর ভাড়ায় নেওয়া একটি তুলার গোডাউনে শনিবার (১১ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগুন লাগে। গত এক সপ্তাহ ধরে এসএল গ্রুপ গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকেই অগ্নিপাতের সূচনা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হওয়ায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক প্রথমে সেনাবাহিনী পরবর্তীতে অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানান। এরপর রাত ৯টা থেকে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর একাধিক অগ্নি নির্বাপনী ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এছাড়া, সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম USAR (Unit Search and Rescue Team) যোগ দেয় রাত সাড়ে বারোটার দিকে। যারা তুরস্কের ভূমিকম্পে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
-
দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক - প্রকাশিত সময় : ০৯:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
- ৮১
Tag :
সর্বাধিক পঠিত



























