মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রথম স্থলভাগে আঘাত হানে ফ্রেডি। গত শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানে। এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আফ্রিকার সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি। বুধবার রাতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোজাম্বিকের জাম্বেজিয়া প্রদেশে কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গেছে। আগের প্রকাশিত সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি এই সংখ্যা। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালাউই এখন পর্যন্ত ২২৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। দেশটিতে আরও শতাধিক আহত হয়েছে এবং কিছু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। মোজাম্বিকে দ্বিতীয়বার আঘাত হানার আগে ঝড়ে মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিকে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। টানা বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চলতি সপ্তাহে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ঝড়ের কারণে মারাত্মক বন্যা হয়েছে, সড়কগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং মৃতদেহ ও ঘর মাটিতে চাপা পড়েছে। মালাউইয়ের প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ১৪ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। ত্রাণের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এনসিপির মুখপাত্র হলেন আসিফ মাহমুদ, করবেন না নির্বাচন

ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রথম স্থলভাগে আঘাত হানে ফ্রেডি। গত শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানে। এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আফ্রিকার সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি। বুধবার রাতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোজাম্বিকের জাম্বেজিয়া প্রদেশে কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গেছে। আগের প্রকাশিত সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি এই সংখ্যা। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালাউই এখন পর্যন্ত ২২৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। দেশটিতে আরও শতাধিক আহত হয়েছে এবং কিছু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। মোজাম্বিকে দ্বিতীয়বার আঘাত হানার আগে ঝড়ে মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিকে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। টানা বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চলতি সপ্তাহে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ঝড়ের কারণে মারাত্মক বন্যা হয়েছে, সড়কগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং মৃতদেহ ও ঘর মাটিতে চাপা পড়েছে। মালাউইয়ের প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ১৪ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। ত্রাণের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।