মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

পুলিশ খুনের মামলার আসামির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যাওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। ডিবিপ্রধান জানান, স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান পুলিশ খুনের আসামি, বিষয়টি সাকিবকে জানানো হয়েছিল। তারপরও তিনি দুবাই গেলেন, এটি দুঃখজনক। ডিবি থেকে নিষেধ করার পরও সাকিব ও হিরো আলম দুবাই গিয়েছেন। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এ ছাড়া, জুয়েলারির দোকানে কাদের বিনিয়োগ আছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করেনি, লাশটি যেন না পাওয়া যায় তাই কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়, এরপর ডিবি তদন্ত করেছে। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তীতে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান। তিনি আরও বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে ও অনেকের বলার পরেও সাকিবসহ অন্যান্য তারকা, খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাই গিয়েছেন। তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন। ‘আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’- যোগ করেন ডিবিপ্রধান। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো মামলার অভিযোগ রয়েছে- জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলা ও চার্জশীট রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে জন্মদিনের দাওয়াতে গিয়ে খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। গুম করতে লাশ গাড়িতে করে নেওয়া হয় গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি জঙ্গলে। সেখানে লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুনে ঝলসিয়ে দেওয়া হয় চেহারা। সেই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী দেশ পলাতক এক আসামির নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়। সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলারি শপ উদ্বোধনী নিয়ে এই হত্যা মামলাটি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। কারণ, কোটি কোটি টাকার এই জুয়েলারি শপের কর্ণধারই হলেন পুলিশ খুনের মামলার পলাতক আসামি আপন। বর্তমানে যিনি আরাভ খান নামে পরিচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

পুলিশ খুনের মামলার আসামির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যাওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। ডিবিপ্রধান জানান, স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান পুলিশ খুনের আসামি, বিষয়টি সাকিবকে জানানো হয়েছিল। তারপরও তিনি দুবাই গেলেন, এটি দুঃখজনক। ডিবি থেকে নিষেধ করার পরও সাকিব ও হিরো আলম দুবাই গিয়েছেন। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এ ছাড়া, জুয়েলারির দোকানে কাদের বিনিয়োগ আছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করেনি, লাশটি যেন না পাওয়া যায় তাই কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়, এরপর ডিবি তদন্ত করেছে। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তীতে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান। তিনি আরও বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে ও অনেকের বলার পরেও সাকিবসহ অন্যান্য তারকা, খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাই গিয়েছেন। তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন। ‘আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’- যোগ করেন ডিবিপ্রধান। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো মামলার অভিযোগ রয়েছে- জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলা ও চার্জশীট রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে জন্মদিনের দাওয়াতে গিয়ে খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। গুম করতে লাশ গাড়িতে করে নেওয়া হয় গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি জঙ্গলে। সেখানে লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুনে ঝলসিয়ে দেওয়া হয় চেহারা। সেই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী দেশ পলাতক এক আসামির নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়। সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলারি শপ উদ্বোধনী নিয়ে এই হত্যা মামলাটি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। কারণ, কোটি কোটি টাকার এই জুয়েলারি শপের কর্ণধারই হলেন পুলিশ খুনের মামলার পলাতক আসামি আপন। বর্তমানে যিনি আরাভ খান নামে পরিচিত।