রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীসহ ২২ জনকে গুলি করে হত্যা

মিয়ানমারে তিন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীসহ অন্তত ২২ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সামরিক শাসনের বিরোধীরা বলেছে, এটি সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসামরিক গণহত্যা। মিয়ানমারের জান্তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনারা দক্ষিণ শান রাজ্যের পিনলাউং অঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনো বেসামরিক লোকের ক্ষতি হয়নি। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্থানীয় মিলিশিয়াদের নিরাপত্তা দিতে সরকারি বাহিনী নান নেইন গ্রামে গিয়েছিল। ওই সময় কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং অন্য একটি বিদ্রোহী দল গ্রামটিতে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ‘যখন সন্ত্রাসী দলগুলো হিংস্রভাবে গুলি চালায়… কিছু গ্রামবাসী নিহত ও আহত হয়।’ তবে কেএনডিএফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের সেনারা রোববার নান নেইনে প্রবেশ করে এবং একটি বৌদ্ধ বিহারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। কেএনডিএফ এবং কারেনি রেভোলিউশন ইউনিয়নের (কেআরইউ) দেওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মৃতদেহের ধড় ও মাথায় বুলেটের ক্ষত এবং মঠের দেয়ালে বুলেটের ছিদ্র রয়েছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের বাইরে গঠিত বেসামরিক সরকারের সদস্য ডা. ইয়ে জাওয়ের একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে সম্ভবত ২২ জনকে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন জন সন্ন্যাসী ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বাকি মৃতদেহগুলোতে কোনো সামরিক পোশাক, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ ছিল না, তাই এটি স্পষ্ট যে, তারা বেসামরিক নাগরিক ছিল।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মিয়ানমারে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীসহ ২২ জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মিয়ানমারে তিন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীসহ অন্তত ২২ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সামরিক শাসনের বিরোধীরা বলেছে, এটি সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসামরিক গণহত্যা। মিয়ানমারের জান্তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনারা দক্ষিণ শান রাজ্যের পিনলাউং অঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনো বেসামরিক লোকের ক্ষতি হয়নি। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্থানীয় মিলিশিয়াদের নিরাপত্তা দিতে সরকারি বাহিনী নান নেইন গ্রামে গিয়েছিল। ওই সময় কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং অন্য একটি বিদ্রোহী দল গ্রামটিতে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ‘যখন সন্ত্রাসী দলগুলো হিংস্রভাবে গুলি চালায়… কিছু গ্রামবাসী নিহত ও আহত হয়।’ তবে কেএনডিএফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের সেনারা রোববার নান নেইনে প্রবেশ করে এবং একটি বৌদ্ধ বিহারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। কেএনডিএফ এবং কারেনি রেভোলিউশন ইউনিয়নের (কেআরইউ) দেওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মৃতদেহের ধড় ও মাথায় বুলেটের ক্ষত এবং মঠের দেয়ালে বুলেটের ছিদ্র রয়েছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের বাইরে গঠিত বেসামরিক সরকারের সদস্য ডা. ইয়ে জাওয়ের একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে সম্ভবত ২২ জনকে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন জন সন্ন্যাসী ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বাকি মৃতদেহগুলোতে কোনো সামরিক পোশাক, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ ছিল না, তাই এটি স্পষ্ট যে, তারা বেসামরিক নাগরিক ছিল।’