শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এগারো বছর পর রাজশাহীর ‘রাজতিলক’ চালু

এগারো বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো রাজশাহীর ‘রাজতিলক’ সিনেমা হল। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমাটি চলেছিল এখানে। সেই হলটি আবার চালু হলো ‘হাওয়া’ সিনেমা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এগারো বছর পর শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সিনেমাটি প্রথম দেখানো হলো রাজতিলকে। এর আগে হলের ভেতরেই অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে হলটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় হলের মালিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সিনেমার সুদিন ফেরাতে হলে হল টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই উদ্যোগী হয়ে এই হল চালু করেছি। এই হলে দেশের সিনেমা তো বটেই, সরকার যেসব বিদেশি সিনেমা আমদানী করবে সেগুলোও প্রদর্শন করা হবে। রাজশাহী মহানগরে এক সময় ছয়টি সিনেমা হল ছিলো। আশপাশের প্রতিটি উপজেলাতেও ছিলো সিনেমা হল। একে একে সবগুলো হলই বন্ধ হয়ে যায়। শহরের সবশেষ ‘উপহার’ সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে। এরপর শহরে কোন সিনেমা হলই ছিলো না। সম্প্রতি রাজশাহীর হাইটেক পার্কে স্টার সিনেপ্লেক্স চালু হয়েছে। এরপর শহর লাগোয়া কাটাখালী বাজারে ১১ বছর বন্ধ পড়ে থাকা ‘রাজতিলক’ সিনেমা হল চালু হলো। এই হলটি যখন বন্ধ হয়েছিলো তখন রুম্মান আলী নামের চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক ব্যক্তি কিনে নেন। কিন্তু তিনিও হলটি চালু করতে পারছিলেন না। তার কাছ থেকে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে হলটি নিয়ে চালু করলেন চলচ্চিত্রের প্রডাকশন ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন। ১৯৯৬ সাল থেকে সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা সাজ্জাদের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি। থাকেন ঢাকায়। সাজ্জাদ হোসেন জানান, পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করে তিনি হলটি ভাড়া নিয়েছেন। হলের প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেম পুরোপুরি ডিজিটাল। প্রায় ৬০০ দর্শক এই হলে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন। সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত টিকিটের মূল্য রাখা হচ্ছে। এর ফলে সকল শ্রেণির মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ পাবে বলে তিনি মনে করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এগারো বছর পর রাজশাহীর ‘রাজতিলক’ চালু

প্রকাশিত সময় : ১০:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

এগারো বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো রাজশাহীর ‘রাজতিলক’ সিনেমা হল। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমাটি চলেছিল এখানে। সেই হলটি আবার চালু হলো ‘হাওয়া’ সিনেমা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এগারো বছর পর শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সিনেমাটি প্রথম দেখানো হলো রাজতিলকে। এর আগে হলের ভেতরেই অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে হলটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় হলের মালিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সিনেমার সুদিন ফেরাতে হলে হল টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই উদ্যোগী হয়ে এই হল চালু করেছি। এই হলে দেশের সিনেমা তো বটেই, সরকার যেসব বিদেশি সিনেমা আমদানী করবে সেগুলোও প্রদর্শন করা হবে। রাজশাহী মহানগরে এক সময় ছয়টি সিনেমা হল ছিলো। আশপাশের প্রতিটি উপজেলাতেও ছিলো সিনেমা হল। একে একে সবগুলো হলই বন্ধ হয়ে যায়। শহরের সবশেষ ‘উপহার’ সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে। এরপর শহরে কোন সিনেমা হলই ছিলো না। সম্প্রতি রাজশাহীর হাইটেক পার্কে স্টার সিনেপ্লেক্স চালু হয়েছে। এরপর শহর লাগোয়া কাটাখালী বাজারে ১১ বছর বন্ধ পড়ে থাকা ‘রাজতিলক’ সিনেমা হল চালু হলো। এই হলটি যখন বন্ধ হয়েছিলো তখন রুম্মান আলী নামের চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক ব্যক্তি কিনে নেন। কিন্তু তিনিও হলটি চালু করতে পারছিলেন না। তার কাছ থেকে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে হলটি নিয়ে চালু করলেন চলচ্চিত্রের প্রডাকশন ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন। ১৯৯৬ সাল থেকে সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা সাজ্জাদের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি। থাকেন ঢাকায়। সাজ্জাদ হোসেন জানান, পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করে তিনি হলটি ভাড়া নিয়েছেন। হলের প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেম পুরোপুরি ডিজিটাল। প্রায় ৬০০ দর্শক এই হলে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন। সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত টিকিটের মূল্য রাখা হচ্ছে। এর ফলে সকল শ্রেণির মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ পাবে বলে তিনি মনে করছেন।