মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের পরেও পর্ন দেখার অভ্যাস রয়ে গিয়েছে? যা বলছে সমীক্ষা

অনেক বিবাহিত পুরুষেরই নীলছবি দেখার প্রতি আসক্তি রয়েছে। কেউ যৌনজীবনে রোমাঞ্চ আনতে নীলছবি দেখেন, কেউ আবার সুখী হতে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে সব বিবাহিত পুরুষের পর্ন দেখার অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের স্ত্রীরা যৌনজীবন নিয়ে সুখে হতে পারছেন না। এর প্রভাব পড়ছে তাঁদের সম্পর্কেও। সমীক্ষার রিপোর্টি ‘জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ পুরুষই একাই পর্ন দেতে পছন্দ করেন, সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে নয়। তাঁদের সঙ্গীনীরা পুরুষদের এই অভ্যাস সম্পর্কে কী মনে করেন— এই নিয়েই সমীক্ষা করেন গবেষকরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩ ভাগের ১ ভাগ মহিলারই কিন্তু সঙ্গীর এই অভ্যাস পছন্দ নয়। তাঁরা মনে করেন, পুরুষসঙ্গীর পর্নের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন আলগা করছে। পুরুষদের এই স্বভাবের কারণে তাঁরা আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা যৌনতার প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন।

অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। ছবি: শাটারস্টক।

অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। ছবি: শাটারস্টক।গবেষকদের দাবি, পর্ন দেখার অভ্যাস সম্পর্কের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে, প্রত্যেক দম্পতিকে তা জানানো উচিত। যে সব পর্ন ছবিতে অতিরিক্ত আগ্রাসী ভঙ্গিতে সঙ্গম দেখানো হয়, শুধু সেগুলিই যে সম্পর্কের ক্ষতি করছে তা নয়, সাধারণ নীলছবিও সম্পর্কের বাঁধন আলগা করার জন্য দায়ী। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে কল্পনা ও বাস্তবের মাঝে ফারাক করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। এর জেরে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। আর এই সবের প্রভাব পড়ে যৌন জীবনের উপর।অতিরিক্ত পর্ন দেখার ফলে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। পর্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে বিশেষ সুখ হয় না অনেকের। কারণ বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। সেই আসক্তি ছাড়াতে সমস্যা হয়। যৌনজীবনের পাশাপাশি রোজের কাজকর্মেও এর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিয়ের পরেও পর্ন দেখার অভ্যাস রয়ে গিয়েছে? যা বলছে সমীক্ষা

প্রকাশিত সময় : ১১:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

অনেক বিবাহিত পুরুষেরই নীলছবি দেখার প্রতি আসক্তি রয়েছে। কেউ যৌনজীবনে রোমাঞ্চ আনতে নীলছবি দেখেন, কেউ আবার সুখী হতে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে সব বিবাহিত পুরুষের পর্ন দেখার অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের স্ত্রীরা যৌনজীবন নিয়ে সুখে হতে পারছেন না। এর প্রভাব পড়ছে তাঁদের সম্পর্কেও। সমীক্ষার রিপোর্টি ‘জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ পুরুষই একাই পর্ন দেতে পছন্দ করেন, সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে নয়। তাঁদের সঙ্গীনীরা পুরুষদের এই অভ্যাস সম্পর্কে কী মনে করেন— এই নিয়েই সমীক্ষা করেন গবেষকরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩ ভাগের ১ ভাগ মহিলারই কিন্তু সঙ্গীর এই অভ্যাস পছন্দ নয়। তাঁরা মনে করেন, পুরুষসঙ্গীর পর্নের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন আলগা করছে। পুরুষদের এই স্বভাবের কারণে তাঁরা আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা যৌনতার প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন।

অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। ছবি: শাটারস্টক।

অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। ছবি: শাটারস্টক।গবেষকদের দাবি, পর্ন দেখার অভ্যাস সম্পর্কের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে, প্রত্যেক দম্পতিকে তা জানানো উচিত। যে সব পর্ন ছবিতে অতিরিক্ত আগ্রাসী ভঙ্গিতে সঙ্গম দেখানো হয়, শুধু সেগুলিই যে সম্পর্কের ক্ষতি করছে তা নয়, সাধারণ নীলছবিও সম্পর্কের বাঁধন আলগা করার জন্য দায়ী। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে কল্পনা ও বাস্তবের মাঝে ফারাক করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। এর জেরে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। আর এই সবের প্রভাব পড়ে যৌন জীবনের উপর।অতিরিক্ত পর্ন দেখার ফলে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। পর্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে বিশেষ সুখ হয় না অনেকের। কারণ বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। সেই আসক্তি ছাড়াতে সমস্যা হয়। যৌনজীবনের পাশাপাশি রোজের কাজকর্মেও এর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়।