মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: আহত ১৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

সৌদি আরবের বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৭ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

আহত ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন— চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরের সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, মো. সেলিম (পাসপোর্ট নং: A03459571)। এছাড়া কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুবি আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন। এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি।

নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-

১। শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী।
২। মামুন মিয়া পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
৩। মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী।
৪। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।
৫। রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা।
৬। মোঃ আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার।
৭। মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর।
৮। রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, চাঁদপুর।
৯। সিফাত উল্লাহ, মহেশখালী, কক্সবাজার।
১০। গিয়াস হামিদ, দেবীদ্দার, কুমিল্লা।
১১। মোহাম্মদ নাজমুল পিতাঃ কাওসার মিয়া, কোতোয়ালি যশোর।
১২। রনি, পিতাঃ ইস্কান্দার, যশোর।
১৩। মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার।

এছাড়া বাসে ভিন্ন দেশী ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজিদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়

খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এনসিপির মুখপাত্র হলেন আসিফ মাহমুদ, করবেন না নির্বাচন

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: আহত ১৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

সৌদি আরবের বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৭ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

আহত ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন— চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরের সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, মো. সেলিম (পাসপোর্ট নং: A03459571)। এছাড়া কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুবি আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন। এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি।

নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-

১। শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী।
২। মামুন মিয়া পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
৩। মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী।
৪। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।
৫। রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা।
৬। মোঃ আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার।
৭। মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর।
৮। রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, চাঁদপুর।
৯। সিফাত উল্লাহ, মহেশখালী, কক্সবাজার।
১০। গিয়াস হামিদ, দেবীদ্দার, কুমিল্লা।
১১। মোহাম্মদ নাজমুল পিতাঃ কাওসার মিয়া, কোতোয়ালি যশোর।
১২। রনি, পিতাঃ ইস্কান্দার, যশোর।
১৩। মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার।

এছাড়া বাসে ভিন্ন দেশী ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজিদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়

খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।