শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে’

‘আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদের আগে বেচাকেনার জন্য দোকানে মাল ঠাসা ছিল। কিন্তু একটি মালও রক্ষা করতে পারলাম না। ২০/২২ লাখ টাকার শার্ট, প্যান্ট। সব শেষ হয়ে গেছে’, এভাবেই আহাজারি করছিলেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম।

সোমবার রাতে দোকানে ব্যবসার ৩০ লাখ টাকা রেখেছিলেন এসএম গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী সোহেল। রাত হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকে দিতে পারেননি তিনি। আগুন লাগার খবর পেয়ে রাজধানীর মিটফোর্টের বাসা থেকে আজ আসতে আসতে তার সব টাকা পুড়ে ছাই।

কেঁদে কেঁদে সোহেল বলেন, ‘আমার তিনটা দোকান গোডাউন মিলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাল ছিল। মাল যায় যাক, কিন্তু আমার ৩০ লাখ টাকা সব শে জামিরুল কিংবা সোহেলই নয়, তাদের মতো কয়েকশ ব্যবসায়ী আহাজারি করছেন বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে। তাদের অধিকাংশই আগুনের খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন বঙ্গবাজারে। কিন্তু তাদের কেউই নিজের দোকানের কাছে যেতে পারেননি। চোখের সামনেই পুড়তে দেখছেন তিলে তিলে গড়ে তোলা দোকানের মালামাল।

ঈদের আগে বিক্রির জন্য অধিকাংশ দোকানে প্যান্ট, শার্ট, শাড়িসহ নানা ধরনের কাপড় মজুদ করা ছিল।মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট যোগ দিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রচণ্ড বাতাস ও ধোঁয়ার কারণে অগ্নি নির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন।দৈনিক আমাদের সময়

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে’

প্রকাশিত সময় : ১১:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

‘আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদের আগে বেচাকেনার জন্য দোকানে মাল ঠাসা ছিল। কিন্তু একটি মালও রক্ষা করতে পারলাম না। ২০/২২ লাখ টাকার শার্ট, প্যান্ট। সব শেষ হয়ে গেছে’, এভাবেই আহাজারি করছিলেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম।

সোমবার রাতে দোকানে ব্যবসার ৩০ লাখ টাকা রেখেছিলেন এসএম গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী সোহেল। রাত হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকে দিতে পারেননি তিনি। আগুন লাগার খবর পেয়ে রাজধানীর মিটফোর্টের বাসা থেকে আজ আসতে আসতে তার সব টাকা পুড়ে ছাই।

কেঁদে কেঁদে সোহেল বলেন, ‘আমার তিনটা দোকান গোডাউন মিলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাল ছিল। মাল যায় যাক, কিন্তু আমার ৩০ লাখ টাকা সব শে জামিরুল কিংবা সোহেলই নয়, তাদের মতো কয়েকশ ব্যবসায়ী আহাজারি করছেন বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে। তাদের অধিকাংশই আগুনের খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন বঙ্গবাজারে। কিন্তু তাদের কেউই নিজের দোকানের কাছে যেতে পারেননি। চোখের সামনেই পুড়তে দেখছেন তিলে তিলে গড়ে তোলা দোকানের মালামাল।

ঈদের আগে বিক্রির জন্য অধিকাংশ দোকানে প্যান্ট, শার্ট, শাড়িসহ নানা ধরনের কাপড় মজুদ করা ছিল।মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট যোগ দিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রচণ্ড বাতাস ও ধোঁয়ার কারণে অগ্নি নির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন।দৈনিক আমাদের সময়