শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বশেমুরবিপ্রবিতে ফেল করা শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। তবে ৩০ এর কম পাওয়া শিক্ষার্থীকেও পোষ্য কোটায় ভর্তি করেছে বশেমুরবিপ্রবি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী পোষ্য কোটায় শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তান এবং স্বামী/স্ত্রী সুযোগ পেলেও বশেমুরবিপ্রবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে ভাই-বোনও পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভর্তি সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময় পোষ্য কোটায় ভাইবোন অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে এ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এবং ব্যপক সমালোচনা তৈরি হলে পোষ্য কোটায় ভাই-বোন ভর্তি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আবারো এটি চালু করা হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই প্রক্রিয়ায় মোট ১৩ জন ভর্তির আবেদন করেন যাদের মধ্যে তিনজনের জিএসটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিলো ৩০ এর কম। পরবর্তীতে দুজনকে বাদ দেয়া হয় এবং একজন শিক্ষার্থীকে ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত একটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের ভাই। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে উপাচার্যের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পোষ্যকোটায় ভাই-বোনদের সুযোগ না দেয়ার বিষয়ে এবং শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তানদের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। তারা পাস না করলে এটা বাতিল হবে। আর ভাই-বোন কোটায় ফেল করা শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এসময় তিনি আরো বলেন, ভাই-বোন কোটার বিষয়টি আমার একার সিদ্ধান্তও না। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছাড়া ভর্তি কমিটির সকলেই সাক্ষর করেছিলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বশেমুরবিপ্রবিতে ফেল করা শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি

প্রকাশিত সময় : ০৮:১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। তবে ৩০ এর কম পাওয়া শিক্ষার্থীকেও পোষ্য কোটায় ভর্তি করেছে বশেমুরবিপ্রবি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী পোষ্য কোটায় শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তান এবং স্বামী/স্ত্রী সুযোগ পেলেও বশেমুরবিপ্রবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে ভাই-বোনও পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভর্তি সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময় পোষ্য কোটায় ভাইবোন অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে এ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এবং ব্যপক সমালোচনা তৈরি হলে পোষ্য কোটায় ভাই-বোন ভর্তি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আবারো এটি চালু করা হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই প্রক্রিয়ায় মোট ১৩ জন ভর্তির আবেদন করেন যাদের মধ্যে তিনজনের জিএসটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিলো ৩০ এর কম। পরবর্তীতে দুজনকে বাদ দেয়া হয় এবং একজন শিক্ষার্থীকে ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত একটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের ভাই। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে উপাচার্যের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পোষ্যকোটায় ভাই-বোনদের সুযোগ না দেয়ার বিষয়ে এবং শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তানদের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। তারা পাস না করলে এটা বাতিল হবে। আর ভাই-বোন কোটায় ফেল করা শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এসময় তিনি আরো বলেন, ভাই-বোন কোটার বিষয়টি আমার একার সিদ্ধান্তও না। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছাড়া ভর্তি কমিটির সকলেই সাক্ষর করেছিলো।