সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৪

নাইজার সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোর দুটি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সে অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নর এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে । সাহেল অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর রোডলফ সোরগো উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোর কৌরাকাউ এবং টোন্ডোবি গ্রামে এই ঘৃণ্য এবং বর্বর হামলার নিন্দা করেছেন। বন্দুকধারীরা কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবিতে ১৩ জনকে হত্যা করেছে এবং কর্মকর্তার মতে বহু লোক আহত হয়েছে। কৌরাকাউয়ের একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন যে, বড় সংখ্যক সন্ত্রাসী গ্রামে ঢুকে পড়ে। সারা রাত ধরে আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। শুক্রবার সকালে আমরা দেখেছি সেখানে কয়েক ডজন লোক মারা গেছে। হামলাটি প্রতিশোধমূলক জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকদিন আগে গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই জিহাদিকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গ্রামটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতায় আসার পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় হামলার একটি। ফেব্রুয়ারিতে, দেশের সুদূর উত্তরে ডিউতে হামলায় ৫১ জন সৈন্য নিহত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৪

প্রকাশিত সময় : ১১:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

নাইজার সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোর দুটি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সে অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নর এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে । সাহেল অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর রোডলফ সোরগো উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোর কৌরাকাউ এবং টোন্ডোবি গ্রামে এই ঘৃণ্য এবং বর্বর হামলার নিন্দা করেছেন। বন্দুকধারীরা কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবিতে ১৩ জনকে হত্যা করেছে এবং কর্মকর্তার মতে বহু লোক আহত হয়েছে। কৌরাকাউয়ের একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন যে, বড় সংখ্যক সন্ত্রাসী গ্রামে ঢুকে পড়ে। সারা রাত ধরে আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। শুক্রবার সকালে আমরা দেখেছি সেখানে কয়েক ডজন লোক মারা গেছে। হামলাটি প্রতিশোধমূলক জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকদিন আগে গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই জিহাদিকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গ্রামটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতায় আসার পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় হামলার একটি। ফেব্রুয়ারিতে, দেশের সুদূর উত্তরে ডিউতে হামলায় ৫১ জন সৈন্য নিহত হয়।