সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে প্রথম ড্রোনবাহী রণতরী চালু করল তুরস্ক

প্রথমবারের মতো মানুষবিহীন বিমান বহনে সক্ষম রণতরী চালু করেছে তুরস্ক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরীটি চালু করল দেশটি। নৌ অভিযানে ড্রোনের সক্ষমতা বাড়াতেই তুরস্কের এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। উভচর রণতরীটির নাম ‘টিসিজি আনাদোলু’। এটি ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বহন করতে পারবে। রণতরীটির দৈর্ঘ্য ২৩২ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধযানসহ ১ হাজার ৪০০ সেনা বহন করতে পারবে। সোমবার ইস্তাম্বুলে রণতরীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় রণতরীটি ব্যবহার করা হবে। আমরা এই রণতরীকে আঞ্চলিক নেতৃত্ব সুসংহত করার প্রতীক হিসেবে দেখছি।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি৩, কিজিলেলমা ড্রোন এবং লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফট হুরজেত জাহাজটি থেকে উড্ডয়ন এবং অবতরণ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক এ জাহাজের সাহায্যে সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।’ রণতরীটি সাঁজোয়া যানও বহনে সক্ষম বলে জানান তিনি। রয়টার্স বলছে, স্প্যানিশ বিমানবাহী রণতরী জুয়ান কার্লোস আইয়ের নকশার ওপর ভিত্তি করে সেদেফ শিপইয়ার্ড এটি তৈরি করেছে। এফ-৩৫ মডেলের যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম এমন একটি রণতরী তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল তুরস্কের। কিন্তু ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো তাদের এফ-৩৫ প্রোগ্রামটি তুরস্ক থেকে সরিয়ে নিলে আঙ্কারা তাদের রণতরী তৈরির পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। পরে টিসিজি আনাদোলুকে ড্রোনবাহী রণতরীতে রূপান্তর করা হয়। সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্বে প্রথম ড্রোনবাহী রণতরী চালু করল তুরস্ক

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

প্রথমবারের মতো মানুষবিহীন বিমান বহনে সক্ষম রণতরী চালু করেছে তুরস্ক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরীটি চালু করল দেশটি। নৌ অভিযানে ড্রোনের সক্ষমতা বাড়াতেই তুরস্কের এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। উভচর রণতরীটির নাম ‘টিসিজি আনাদোলু’। এটি ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বহন করতে পারবে। রণতরীটির দৈর্ঘ্য ২৩২ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধযানসহ ১ হাজার ৪০০ সেনা বহন করতে পারবে। সোমবার ইস্তাম্বুলে রণতরীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় রণতরীটি ব্যবহার করা হবে। আমরা এই রণতরীকে আঞ্চলিক নেতৃত্ব সুসংহত করার প্রতীক হিসেবে দেখছি।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি৩, কিজিলেলমা ড্রোন এবং লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফট হুরজেত জাহাজটি থেকে উড্ডয়ন এবং অবতরণ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক এ জাহাজের সাহায্যে সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।’ রণতরীটি সাঁজোয়া যানও বহনে সক্ষম বলে জানান তিনি। রয়টার্স বলছে, স্প্যানিশ বিমানবাহী রণতরী জুয়ান কার্লোস আইয়ের নকশার ওপর ভিত্তি করে সেদেফ শিপইয়ার্ড এটি তৈরি করেছে। এফ-৩৫ মডেলের যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম এমন একটি রণতরী তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল তুরস্কের। কিন্তু ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো তাদের এফ-৩৫ প্রোগ্রামটি তুরস্ক থেকে সরিয়ে নিলে আঙ্কারা তাদের রণতরী তৈরির পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। পরে টিসিজি আনাদোলুকে ড্রোনবাহী রণতরীতে রূপান্তর করা হয়। সূত্র: যুগান্তর