বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

১০ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছে। এটিকে মিশ্রগ্রহণ বা বিরল সূর্যগ্রহণও বলা হয়। বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ৭টা ৩৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শুরু হয়েছে, এটি শেষ হবে দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এটি বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে না। দৃশ্যমান হবে অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডে, শেষ হবে ১১টা ৫৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। আর সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ১০টা ১৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। পূর্ণ-বলয়গ্রাস শব্দটি হচ্ছে একটি মিশ্র শব্দ। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর কোথাও কোথাও পূর্ণগ্রহণ হিসেবে ধরা দেবে। কোথাও আবার দেখা যাবে বলয়গ্রাস আকারে। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বোঝায় চাঁদ যখন পৃথিবীর থেকে দূরে থাকে এবং সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই রেখায় অবস্থান করে; সেই সময় সূর্যের আলোকে চাঁদ পুরোপুরি ঢাকতে পারে না। আর পূর্ণগ্রাস হলো চাঁদ যখন সূর্যের আলোকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়। সে সময় পৃথিবীতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে। মিশ্রগ্রহণ বা পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হচ্ছে পূর্ণগ্রহণ দিয়ে শুরু হলে চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, একটু সরে যায়। ফলে তখন আর সেটি পূর্ণগ্রহণ থাকে না। বলয়গ্রাস হয়ে যায়। আবার কখনো সেটা বলয়গ্রাস দিয়ে শুরু হলেও একই কারণে পূর্ণগ্রহণে পরিণত হয়। আর এটি একেক জায়গায় একেক রকম দেখা যায়। প্রতি ১৮ মাস অন্তর একটি করে সূর্যগ্রহণ হলেও মিশ্র সূর্যগ্রহণ খুব বিরল। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) বলছে মাত্র ৪ শতাংশ হচ্ছে মিশ্রগ্রহণ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এমন গ্রহণ হয়েছিল। প্রতি ১০০ বছরে কয়েকটি গ্রহণ এমন হয়ে থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

১০ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছে। এটিকে মিশ্রগ্রহণ বা বিরল সূর্যগ্রহণও বলা হয়। বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ৭টা ৩৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শুরু হয়েছে, এটি শেষ হবে দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এটি বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে না। দৃশ্যমান হবে অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডে, শেষ হবে ১১টা ৫৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। আর সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ১০টা ১৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। পূর্ণ-বলয়গ্রাস শব্দটি হচ্ছে একটি মিশ্র শব্দ। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর কোথাও কোথাও পূর্ণগ্রহণ হিসেবে ধরা দেবে। কোথাও আবার দেখা যাবে বলয়গ্রাস আকারে। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বোঝায় চাঁদ যখন পৃথিবীর থেকে দূরে থাকে এবং সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই রেখায় অবস্থান করে; সেই সময় সূর্যের আলোকে চাঁদ পুরোপুরি ঢাকতে পারে না। আর পূর্ণগ্রাস হলো চাঁদ যখন সূর্যের আলোকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়। সে সময় পৃথিবীতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে। মিশ্রগ্রহণ বা পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হচ্ছে পূর্ণগ্রহণ দিয়ে শুরু হলে চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, একটু সরে যায়। ফলে তখন আর সেটি পূর্ণগ্রহণ থাকে না। বলয়গ্রাস হয়ে যায়। আবার কখনো সেটা বলয়গ্রাস দিয়ে শুরু হলেও একই কারণে পূর্ণগ্রহণে পরিণত হয়। আর এটি একেক জায়গায় একেক রকম দেখা যায়। প্রতি ১৮ মাস অন্তর একটি করে সূর্যগ্রহণ হলেও মিশ্র সূর্যগ্রহণ খুব বিরল। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) বলছে মাত্র ৪ শতাংশ হচ্ছে মিশ্রগ্রহণ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এমন গ্রহণ হয়েছিল। প্রতি ১০০ বছরে কয়েকটি গ্রহণ এমন হয়ে থাকে।