সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্রোহীদের গুলিতে মিয়ানমারের শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তা নিহত

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধান নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম সাই খও থু। শনিবার (২২ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনের পূর্বাঞ্চলের থিনগানইয়ুন শহরে বিদ্রোহীদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সরকারবিরোধী সশস্ত্রগোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আরো দাবি করেছে, স্বঘোষিত বেসামরিক ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’র যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র রাজনৈতিক দল ন্যাশাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার একমাসের মধ্যেই নিহত হলেন কমিশনের উপ-প্রধান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সু চি-কে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই ভিন্নমতের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী ও দমন-পীড়নমূলক শাসন কায়েম করে জান্তা। পাল্টা প্রতিরোধ করতে দেশটিতে গড়ে উঠে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’। তারাই এবার মিয়ানমারের বর্তমান সরকারপন্থী অর্থাৎ জান্তা পন্থীদের বাছাই করে হত্যা করছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। কিছুদিন আগে সরকারবিরোধী সশস্ত্রগোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলা চালায় জান্তা। এ ঘটনায় নিহত হন অন্তত ১০০ জন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বহু শিশু ও মহিলা। ছিলেন সাংবাদিকরাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিদ্রোহীদের গুলিতে মিয়ানমারের শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তা নিহত

প্রকাশিত সময় : ১১:০০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধান নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম সাই খও থু। শনিবার (২২ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনের পূর্বাঞ্চলের থিনগানইয়ুন শহরে বিদ্রোহীদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সরকারবিরোধী সশস্ত্রগোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আরো দাবি করেছে, স্বঘোষিত বেসামরিক ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’র যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র রাজনৈতিক দল ন্যাশাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার একমাসের মধ্যেই নিহত হলেন কমিশনের উপ-প্রধান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সু চি-কে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই ভিন্নমতের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী ও দমন-পীড়নমূলক শাসন কায়েম করে জান্তা। পাল্টা প্রতিরোধ করতে দেশটিতে গড়ে উঠে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’। তারাই এবার মিয়ানমারের বর্তমান সরকারপন্থী অর্থাৎ জান্তা পন্থীদের বাছাই করে হত্যা করছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। কিছুদিন আগে সরকারবিরোধী সশস্ত্রগোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলা চালায় জান্তা। এ ঘটনায় নিহত হন অন্তত ১০০ জন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বহু শিশু ও মহিলা। ছিলেন সাংবাদিকরাও।